গুয়াহাটি: কংগ্রেসের নেতার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। এর পর দল থেকে সাসপেন্ড হলেন অসমের কংগ্রেসের এক নেত্রী। ‘দলবিরোধী’ কাজের জন্য তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দল থেকে বহিষ্কৃত ওই কংগ্রেস নেত্রী ইন্ডিয়ান ইউথ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাস বিভি-র বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় অসম কংগ্রেসের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার ‘লড়কি হু, লড় শক্তি হু’ স্লোগানকে ভাওতা বলেও কটাক্ষ করেছে অসমের বিজেপি শিবির। কংগ্রেসের মহিলা ক্ষমতায়নের নমুনা হিসাবে এই ঘটনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি।
কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ওই কংগ্রেস নেত্রী হেনস্থার অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অসমের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তদন্তে উঠে আসে ওই মহিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর পরই অভিযোগকারিণী মহিলাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ব্যাপারে অসমের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মহিলা নেত্রীর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরই বিজেপির নিশানায় অসমের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ ব্যাপারে বিজেপি বলেছে, “এই হল কংগ্রেসের নারী ক্ষমতায়ন! নিগৃহীত মহিলাকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হল।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দিসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতাকে সমন পাঠানোও হয়েছিল। জাতীয় মহিলা কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।