দেরাদুন: ২২ এপ্রিল, শনিবার শুরু হল চারধাম যাত্রা। এদিন অক্ষয় তৃতীয়া। আর এই বিশেষ দিনেই চারধাম অর্থাৎ গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হল। এবছর এখনও পর্যন্ত চারধাম যাত্রার জন্য ২.৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য চিকিৎসা পরিষেবা সহ সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চারধাম যাত্রার জন্য পুণ্যার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এবছর এখনও পর্যন্ত চারধাম যাত্রার জন্য ২.৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। তবে চারধাম যাত্রার দৈনিক পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন, এবছর প্রতিদিন যমুনোত্রীর জন্য ৫,৫০০, গঙ্গোত্রীর জন্য ৯,৯০০, বদ্রীনাথের জন্য ১৫ হাজার এবং কেদারনাথে ১৮ হাজার পুণ্যার্থী প্রবেশ করতে পারবেন বলে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে স্থির করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুণ্যার্থীদের পথে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বিশেষ সতর্ক ধামির সরকার। চারধাম যাত্রার পথে একাধিক স্বাস্থ্য শিবির করা হয়েছে। গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই রুদ্রপ্রয়াগ পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ড সরকারের স্বাস্থ্য সচিব ডা. আর রাজেশ কুমার। গুপ্তকাশী, সোনপ্রয়াগ, গৌরীকুণ্জ সহ অন্যান্য জায়গারও স্বাস্থ্য পরিষেবার বন্দোবস্ত তিনি খতিয়ে দেখেন এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে পুণ্যার্থীদের প্রতি তাঁর বার্তা, চারধাম যাত্রার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। প্রকৃতির অবস্থা দেখেই পুণ্যার্থীদের যাত্রা করার বার্তা দিয়েছেন এবং কারও পথে কোনও সমস্যা হলে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। বিশেষত, পঞ্চাশোর্ধ্ব পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ, ২২ এপ্রিল থেকেই চারধাম যাত্রা শুরু হচ্ছে। এদিনই গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথের দরজা খুলবে আগামী ২৫ এপ্রিল।