কলকাতা ও গুয়াহাটি: দুর্গাপুজোর আয়োজনে যাতে পুজো কমিটিগুলির কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে লাগাতার পুজোর অনুদান দিয়ে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু মমতার সরকারই নয়, এবছর পুজো কমিটিগুলির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে বঙ্গ বিজেপিও। বেশ কিছু পুজোর উদ্যোক্তাদের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে এ রাজ্যের পদ্ম শিবির। আর এবার পড়শি রাজ্য অসমেও পুজোর মুখে বড় ঘোষণা। অসমের প্রায় সাত হাজার পুজো কমিটিকে আর্থিক অনুদান দেবে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। মঙ্গলবার অসমের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ৬ হাজার ৯৫৩টি পুজো কমিটির প্রতিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে অসম সরকার।
প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। আর এই দুর্গাপুজোর মরশুমে পুজো কমিটিগুলি যাতে আমজনতার থেকে জোরজুলুম করে চাঁদা না নেয়, সেই বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পুজোর নামে জোর করে মানুষের থেকে চাঁদা আদায় করা মোটেই পছন্দ করছেন না তিনি। দিন দুয়েক আগেই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, “অসম সরকার চাঁদা কালচারে সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। পুজো কমিটিগুলির কাছে আমার অনুরোধ, মানুষের থেকে যেন জোর করে টাকা নেওয়া না হয়। মানুষ নিজে থেকেই পুজোয় চাঁদা দেন। দুর্গাপুজোর চাঁদা তোলার নামে কেউ যেন পরিবেশকে খারাপ না করেন।”
প্রসঙ্গত, বাংলাতেও এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর কমিটিগুলির পুজোর অনুদান ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির কাছেও অনেক আবেদন জমা পড়েছে পুজোর আয়োজনে আর্থিক সাহায্য চেয়ে। প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি পুজোকে আর্থিকভাবে সাহায্য করছে বঙ্গ বিজেপিও। কাউকে ২০ হাজার টাকা, কাউকে ৮০ হাজার টাকা তো কাউকে আবার আরও বেশি অঙ্কের আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে।