নয়া দিল্লি: মউ স্বাক্ষরিত হবে দিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও অসম সরকারের মধ্যে। আজ বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। আজ সন্ধেবেলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও অসম সরকারের অন্যান্য় বর্ষীয়ান আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
দিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (Dimasa National Liberation Army) :
অসমের একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হল দিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। অসম ও নাগাল্যান্ডের একটি জনজাতি সম্প্রদায় হল দিমাসা। এই জনজাতি সম্প্রদায় মিলেই আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে দিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গঠন করে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে আত্মপ্রকাশ করে এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। তারা দাবি করে যে, জাতীয় সংগ্রামকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দিমাসা রাষ্ট্রের মুক্তির জন্য লড়াই করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই সময় এই গোষ্ঠীর তথ্য ও প্রচার সচিব রিংসমাই দিমাসা বলেছিলেন, “ভারতের দিমাসা উপজাতি ঐক্যবদ্ধভাবে নাইসোদাও দিমাসা এবং স্বরাষ্ট্র সচিব খারমিন্দাও দিমাসার সভাপতিত্বে দিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি নামে একটি সশস্ত্র বিপ্লবী সংগঠন শুরু করল। দিমাসাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার জন্য এবং দিমাসা রাষ্ট্র পুনরুদ্ধারের জন্য দিমাসা সমাজের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য এই সংগঠন।”
এদিকে অসম সরকারের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রাম লেগেই থাকে দিমাসা লিবারেশন আর্মির। এদিকে এই মাসের শুরুতেই এক তরফা যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করে। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে চিঠি লিখে এই আরও ৬ মাস যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ডিএনএলএ-র সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, অসমে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই শান্তি রক্ষার বার্তা দিয়ে আসছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি এই সংগঠনের কাছেও শান্তির দাবি জানান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ মাসের জন্য এক তরফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ডিএনএলএ। এই ঘোষণার ঠিক দু’ সপ্তাহ আগেই ২৬ অগাস্ট দিমা হাসাও জেলায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে ডিএনএলএ-র বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাতটি ট্রাকের কনভয়ে তারা গুলি চালাতে শুরু করে। এই হামলায় ৫ জন নিহত হন এবং ১ জন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার ঠিক দু’ সপ্তাহ পরেই সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করে ডিএনএলএ। এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই গোষ্ঠীর মউ স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।