পোরবন্দর: সিমেন্ট কারখানা (Cement Factory)-র চিমনির ভিতরে মেরামতি ও রঙ করতে ঢুকেছিলেন কয়েকজন ঠিকে মজুর (Workers)। যে লোহার পাটাতনের (Platform) উপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন তাঁরা, আচমকাই তা ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে চিমনির ভিতরে গড়িয়ে আটকে যান সাত শ্রমিক। শেষ খবর পাওয়া অবধি, এখনও আটকে পড়া মাত্র একজন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গুজরাট(Gujarat)-র পোরবন্দরে সৌরাষ্ট্র সিমেন্ট লিমিটেড (Saurashtra Cement Limited), যারা “হাতি” ব্রান্ডের নামে সিমেন্ট বিক্রি করে, তাদের কারখানায় কাজ চলছিল। কারখানার চিমনিটি বহুদিনে পুরনো হওয়ায় বেশ কয়েকজন শ্রমিককে পাঠানো হয় মেরামতি ও রঙ করার জন্য। শ্রমিকরাও নির্দেশ মতোই চিমনির ভিতরে ভাড়া বাঁধে এবং মেরামতির কাজ শুরু করে দেয়।
Gujarat | A labourer was safely rescued from the chimney of a cement factory in Ranavav, Porbandar. An Indian Coast Guard helicopter was deployed to search for workers.
CM Vijay Rupani has deployed two NDRF teams at the cement factory after speaking with Porbander DM. (12.08) pic.twitter.com/FwR7RZrini
— ANI (@ANI) August 12, 2021
মাটি থেকে ৪০ ফুট উপরে শ্রমিকরা যখন কাজ করছিল, আচমকাই লোহার ওই পাটাতনটি আচমকাই ভেঙে যায়। চিমনির ভিতরেই গড়িয়ে পড়ে যান কমপক্ষে সাত জন শ্রমিক। কারখানার কর্মীরা উদ্ধার করতে না পারায়, দমকলে খবর দেওয়া হয়। পরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরেও খবর দেওয়া হয়। এনডিআরএফ(NDRF)-র দুটি দল পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে ড্রোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাথার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীও গোটা ঘটনাটি জানতে পেরেই জেলাশাসক এএম শর্মার সঙ্গে কথা বলেন ও এনডিআরএফের দুটি দল পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলাশাসক জানান, আচমকা লোহার পাটাতনটি ভেঙে পড়েই এই বিপত্তি ঘটেছে। কমপক্ষে ছয় থেকে সাতজন শ্রমিক ওই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছেন। আপাতত তাদের খোঁজ করার জন্য ক্যামেরা লাগানো ড্রোন চিমনির ভিতরে পাঠানো হয়েছে এবং শ্রমিকরা কোথায় আটকে রয়েছেন, তা ফুটেজ দেখে আন্দাজ করার চেষ্টা চলছে।
এদিন সকাল থেকে ফের উদ্ধারকার্য শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া অবধি একজন শ্রমিককে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিরা এখনও চিমনির ভিতরেই আটকে রয়েছেন। জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে এনডিআরএফ। আরও পড়ুন: নির্দেশিকা জারি করেও রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে স্কুল খোলার বিপক্ষেই ঠাকরে সরকার!