নির্দেশিকা জারি করেও রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে স্কুল খোলার বিপক্ষেই ঠাকরে সরকার!

যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গাইকোয়াড জানান, তিনি নাকি জানেনই না স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

নির্দেশিকা জারি করেও রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে স্কুল খোলার বিপক্ষেই ঠাকরে সরকার!
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 11:09 AM

মুম্বই: সরকার জানিয়েছিল আগামী ১৭ অগস্ট থেকে খুলে যাবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল (School Re-open)। কিন্তু  টাস্ক ফোর্স অভিযোগ জানাতেই রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে নিল মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra Government)। আগামী সপ্তাহ থেকে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হল প্রশাসনের তরফে।

গত ১০ অগস্টই ঠাকরে সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ অগস্ট থেকে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হবে। যাবতীয় নিয়মাবলি নিয়ে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়। তবে রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সে(COVID Task Force)-র তরফে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় আপাতত সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করার কথা ঘোষণা করল সরকার।

বুধবার রাতেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ও কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। টাস্ক ফোর্সের মতামত জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, ১৮ বছরের কম বয়সীদের এখনও টিকাকরণ হয়নি, তাই তৃতীয় ঢেউয়ে তারা অধিক সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে কোভিডবিধি অনুসরণ করার মতো পরিকাঠামোও নেই। তাপমাত্রা পরীক্ষা, সর্বদা মাস্ক পরা, দূরত্ব রেখে বেঞ্চ সাজানো, সাবান-স্যানিটাইজা়রের ব্যবস্থা নেই। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলের কর্মচারীদের কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি।

যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গাইকোয়াড জানান, তিনি নাকি জানেনই না স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নিজেরা কখনওই সরাসরি সিদ্ধান্ত নিইনি। অন্তিম সিদ্ধান্ত জেলাশাসক ও পুরসভার কমিশনারের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। আমরা প্রথম থেকেই নিয়ম মেনে এসেছি, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি। আমায় এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।”

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলছুটদের সংখ্যা বেড়েছে। শিশুশ্রমিক, নাবালিকার বিয়ের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশন রিসার্চের তরফেও সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ অভিভাবকই চান স্কুল খোলা হোক। সেই কারণেই করোনা মুক্ত গ্রামগুলিতে গত ১৫ জুলাই থেকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে অফলাইনে। কারণ গ্রামের অধিকাংশ পড়ুয়ারাই ক্ষমতা নেই অনলাইনে পড়াশোনা করার। শিক্ষকরাও চান, দ্রুত স্কুল খোলা হোক। তবে কোভিড টাস্ক ফোর্সের অভিযোগেই আপাতত আটকে সেই সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন: কোভ্যাকসিনে WHO-এর অনুমোদন কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী