অযোধ্যা: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবে ভগবান রামের বিগ্রহ। তবে গর্ভগৃহে উপবেশনের আগে নগর পরিক্রমা করবেন রামলালা। অযোধ্যার প্রতিটি ঘরে যাবেন তিনি। TV9-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন খোদ অযোধ্যার মেয়র মহন্ত গিরীশ পাতি ত্রিপাঠী। প্রাচীন শহরের রীতি-সংস্কৃতি মেনেই বিগ্রহের এই নগর ভ্রমণের আয়োজন করা হচ্ছে এবং তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র।
কেন বিগ্রহের নগর ভ্রমণের পরিকল্পনা?
অযোধ্যার মেয়র মহন্ত গিরীশ পাতি ত্রিপাঠী বলেন, “কোনও মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, প্রথমে আমরা মূর্তিটি পরিভ্রমণ করাই, যাকে নগর ভ্রমণ বলে। মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এটা একটা চিরাচরিত ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া, আমাদের সংস্কৃতি। গোটা শহরের বাসিন্দা রামলালার দর্শন করতে পারবেন। বিগ্রহের নগর ভ্রমণ শুরু হলে তিনি শহরের প্রতিটি প্রান্তে যাবেন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।” মেয়র আরও বলেন, “ভগবান প্রত্যেকের দরজায় যাবেন। রামলালা প্রত্যেকের দরজায় টোকা দেবেন। এটা আমাদের সৌভাগ্য।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর রোড শোয়ের মতো ব্যবস্থাপনা
মহন্ত গিরীশ পাতি ত্রিপাঠী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন শহরে এসেছিলেন, যে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছিল, সেই একই ব্যবস্থা করা হবে রামলালার নগর ভ্রমণে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে।
কোন কোন রাস্তা পরিক্রমা করবেন রামলালা?
অযোধ্যা শহরের প্রধান-প্রধান রাস্তা দিয়ে রামলালা নগর ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছেন অযোধ্যার মেয়র। রামমন্দির থেকেই এই ভ্রমণ শুরু হবে। তবে ঠিক কোন কোন রাস্তা দিয়ে বিগ্রহকে নগর ভ্রমণ করানো হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রধান রাস্তাগুলির বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে স্বাগত জানানোর বিশেষ বন্দোবস্ত করা হবে এবং গোটা শহর পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপাঠী।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে যেমন গোটা শহরকে আলো-ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হচ্ছে, তেমনই মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সমগ্র অযোধ্যাকে আবর্জনা-মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই ৬ মাস আগে থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। একথা জানিয়ে অযোধ্যার মেয়র বলেন, “৩টি শিফটে আলাদাভাবে অযোধ্যাকে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। কোথাও কোনও আবর্জনা থাকবে না। শহরের সমস্ত নর্দমাও ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং সেকাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ।” পরিচ্ছন্নতার নিরিখে শীর্ষে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।