অযোধ্যা: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হয়েছে গত ২২ জানুয়ারি। তার পরদিন মন্দিরের গেট সর্বসাধারণের জন্য খুলতেই ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। প্রথম দিনই ভক্তদের বিপুল অনুদানে যেমন ভরে উঠেছে রাম মন্দিরের দানবাক্স, তেমনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা উপহার উপচে পড়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। এখনও পর্যন্ত কোথা থেকে কী কী উপহার এসেছে দেখে নেওয়া যাক একনজরে
১) রাম-জায়া সীতার জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয় নেপালের জনকপুর। সেখান থেকে বিশেষ উপহার পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে, সীতার জন্য পাঠানো রুপোর জুতো জোড়া, অলঙ্কার এবং পোশাক। এছাড়া নেপালের শালগ্রাম শিলাগুলি রামের মূর্তি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
২) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ-বিশেষ উপহার এসেছে রাম মন্দিরে। যেমন, তামিলনাড়ু থেকে এসেছে সিল্কের বিছানার চাদর, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে এসেছে একটি বিশাল তালা। এটি মূলত প্রতীকী হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
৩) গুজরাট থেকে এসেছে ৫০০০টি উজ্জ্বল আমেরিকান ডায়মন্ড বসানো ২ কিলোগ্রাম ওজনের একটি দুর্দান্ত নেকলেস।
৪) ১০৮ ফুট লম্বা বিশেষ ধূপকাঠি এসেছে। যার সুগন্ধ মন্দির চত্বরকে সুবাসিত করে তোলে।
৫) আরেকটি অসাধারণ উপহার হল, একটি বৃহৎ ঘণ্টা। ২,১০০ কেজি ওজনের এই ঘণ্টাটি অটল বিশ্বাসের প্রতীক হিসাবে দেওয়া হয়েছে।
৬) একইসঙ্গে আটটি দেশের সময় প্রদর্শনকারী একটি ঘড়ি উপহার হিসাবে এসেছে এবং সেটি মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে।
৭) হায়দরাবাদ থেকে এসেছে ১,২৬৫ কেজি ওজনের একটি বিশাল লাড্ডু। যা এক হায়দরাবাদি শেফের ভালবাসা এবং ভক্তি প্রদর্শন করে।
৮) চল্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ৮০০০ কিলোমিটার হেঁটে এসে তাঁর ভক্তি নিবেদন করেছেন এবং উপহার হিসাবে ভগবান রামের জন্য সোনার পাদুকা মাথায় করে নিয়ে এসেছেন।
৯)শ্রীলঙ্কার অশোক উদ্যান থেকে এসেছে ‘সীতা এলিয়া শিলা’ এবং ভগবান রামের ‘চরণ পাদুকা’।
১০) থাইল্যান্ড তাদের পবিত্র নদীর জল ও মাটি প্রদান করেছে।
এছাড়া ভগরাম রামের বস্ত্র, অন্যান্য অলঙ্কার থেকে শুরু করে আরও নানাবিধ সামগ্রী উপহার এসেছে। তারপর প্রথম দিন থেকেই ভক্তরা প্রণামী হিসাবে নগদ অর্থ প্রদান করছেন। আবার মহারাষ্ট্রের এক ভক্ত ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা ও ৮০ কেজি ওজনের তরোয়াল রামলালাকে উপহার দিয়েছেন। সবমিলিয়ে, মন্দির উদ্বোধনের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত উপহারের পাহাড় জমা পড়েছে রাম মন্দিরে।