লখনউ: ‘হেট স্পিচ’ বা ঘৃণামূলক বক্তব্য পেশের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন সমাজবাদী পার্টির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা আজম খান। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আইএএস অফিসার অঞ্জনেয়া কুমারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর), উত্তর প্রদেশের এক আদালত এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল। আদালত তাকে ৩ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁকে ২০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডের রাজ্য সরকারকে হেট স্পিচের অপরাধের মামলায় কঠোর পদক্ষেপ করতে বলেছিল। এই বিষয়ে দেরি করা হলে, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে ধরা হবে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় আজম খান দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সারা দেশে এমন এক বাতাবরণ তৈরি করেছেন, যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড হওয়ার ফলে, উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদও হারাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন আজম খান। তার আগে জমি দখলের এক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে সীতাপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টিতে ‘নাম্বার টু’ বলা হয় তাঁকে। রামপুর সহ, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশে তাঁর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। শীর্ষ আদালতে আজম খান দাবি করেছিলেন, উত্তর প্রদেশ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে চলেছে। যোগী সরকারের লক্ষ্য, তাঁকে যেনতেন প্রকারে কারাগারে বন্দি রাখা। বস্তুত, ২০১৭ সালে বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকে, আজম খানের বিরুদ্ধে প্রায় ৯০টি মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ যেমন রয়েছে, রয়েছে চুরির মামলাও।