Sheikh Hasina: ‘ম্যায় ভারত কা আভারি হুঁ’, মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে হিন্দিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা হাসিনার
Modi-Hasina Meet: গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত আমাদের বন্ধু। ভারতে আসা তাই সবসময়ই বিশেষ মাত্র যোগ করে।
নয়া দিল্লি: ৪ দিনের ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার শেখ হাসিনার ভারত সফরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক হওয়ার কথা হাসিনা। মঙ্গলবার সকালেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা হাসিনার। ভারত সরকারে পক্ষ থেকে হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কোনও খামতি রাখা হয়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কাট আউটে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও স্বাগতবার্তা লেখা হয়েছে।
গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আমাদের বন্ধু। ভারতে আসা তাই সবসময়ই বিশেষ মাত্র যোগ করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা আমরা সবসময় মনে রাখি। আমরা পরস্পরকে সাহায্যের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। মানুষের উন্নয়ন এবং অর্থনীতি উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। আমি আশাকরি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।” সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন হিন্দিতে কথা বলতে শোনা যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সময় তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দিতে তিনি বলেন, “ভারতবাসীকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে।” সাংবাদিকদের হাসিনা বলেন, “ছ’বছর আমি দিল্লিতে ছিলাম। তখন অল্প অল্প হিন্দি শিখেছি। তাই চেষ্টা করলাম”।
হাসিনার চারদিনের এই ভারত সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। হাসিনার ভারত সফরকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে দেশের বণিকমহল। তাদের তরফে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে হাসিনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। গতকালই দেশের অন্যতম সেরা শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাসিনা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিনার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ। জানা গিয়েছে, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, রোহিঙ্গা ইস্যু এমনকী চিন নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তাই মোদী-হাসিনা বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।