নয়া দিল্লি: হাসিনা বিদায়ের পর, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘটছে বড় বদল। এই বদল দেখা যাচ্ছে তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলেও। পাকিস্তান থেকে ব্যাপক পরিমাণ গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক আমদানি করতে চলেছে ঢাকা। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আমদানির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিকে ৪০,০০০ রাউন্ড গুলি কেনার বরাত দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২০০০টি ট্যাঙ্কের গোলা, ৪০টন আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং ২,৯০০ রকেটেরও অর্ডার দিয়েছে ঢাকা। অথচ, গত বছর তারা পাকিস্তান থেকে শুধুমাত্র ১২,০০০ রাউন্ড গুলি কিনেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, তিনটি ধাপে বাংলাদেশকে এই গোলাগুলি দেবে পাকিস্তান।
এই অঞ্চলে দুই প্রবল পরাক্রমী শক্তি ভারত ও চিন। তবে, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। হাসিনার বিদায়ের পর, পাকিস্তান থেকে যেভাবে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করছে বাংলাদেশ, তা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বাড়াতে চাইছে।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্রয়ের এই কৌশলগত পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন ভারত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার হওয়া মানে, ভারতের আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল ভারতের। তবে, ঢাকায় এখন মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে এক নতুন সরকারের আগমন ঘটেছে। তারা ভারতের বদলে, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে বেশি আগ্রহী বলে মনে করছে নয়া দিল্লি। বিশেষ করে, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী মনোভাব ক্রমে বাড়ছে।
বাংলাদেশের এই সকল ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশের উপর নজর রাখতে বলেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর), লখনউয়ে জয়েন্ট কমান্ডার কনফারেন্স ছিল। ইউক্রেন এবং ইজরাইলের যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, অপ্রত্যাশিতভাবেই যুদ্ধ শুরু হয়। তিনি বলেছেন, ভারতকে যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ প্রতিবেশী দেশগুলি অস্থিতিশীল। আর এতে আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)