বেঙ্গালুরু: গত মঙ্গলবারই জন্মদিন ছিল প্রেমিকার। কিন্তু, কাজে চাপে ওই দিন জন্মদিন উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। তাই, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল), গোটা দিন ধরে প্রেমিকার জন্য গ্র্যান্ড পার্টির আয়োজন করেছিল সে। ওইদিন রাতে প্রেমিকা জন্মদিনের কেক কেটেছিলেন। এর ঠিক কয়েক মিনিট পরই, সেই কেক কাটার ছুরি দিয়েই প্রেমিকার গলা চিড়ে দেয় প্রেমিক। তারপর একের পর এক ছুরির কোপে প্রেমিকাকে হত্যা করে সে। এই গুরুতর অভিযোগে প্রশান্ত নামে বেঙ্গালুরুর এক ২৬ বছরের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা যুবতীর নাম নব্যা। সে পুলিশ বিভাগের ইন্টারনাল সিকিওরিটি বিভিশনে কাজ করত। প্রশান্ত তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিল। গত ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, সম্প্রতি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে নব্যার সম্পর্ক তৈর হয়েছে বলে সন্দেহ করত প্রশান্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, সেই সন্দেহের জেরেই এই হত্যা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর লাগেরে অঞ্চলে প্রশান্তর অ্যাপার্টমেন্টে। সেখানেই নব্যাকে তাঁর ২৪ বছরের জন্মদিন উদযাপন করার জন্য ডেকেছিল প্রশান্ত। তারা দুজনেই আদতে কর্নাটকের কণকপুরের বাসিন্দা। তবে গত কয়েক বছর ধরে কাজের সূত্রে দুজনেই বেঙ্গালুরুতে থাকত। ১১ এপ্রিল জন্মদিন ছিল নব্যার। পুলিশ বিভাগের কাজের ব্যস্ততার চাপে ওই দিন তাঁর জন্মদিন পালন করা যায়নি। তাই শুক্রবার বড় করে আয়োজন করেছিল প্রশান্ত। গোটা দিন দুজনে একসঙ্গে কাটিয়েছিল। নব্যার জন্য একটি কেকও আনিয়েছিল প্রশান্ত। রাতে কেকটি কাটে নব্যা। আর তারপরই তাল কাটে। পুলিশি জেরায় প্রশান্ত জানিয়েছে, কেক কাটার পর এক ব্যক্তির সঙ্গে সমানে মেসেজে কথা বলে যাচ্ছিল নব্যা। তাতেই রাগের মাথায় সে ছুরি দিয়ে নব্যার গলা চিড়ে দেয়। তারপর, নব্যার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরিটি দিয়ে তাঁকে বেশ কয়েকবার কোপও মারে।
আসলে এই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি প্রশান্ত এবং নব্যার সম্পর্কের তাল কেটেছিল। ওই ব্যক্তির সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে নব্যা বলে সন্দেহ ছিল প্রশান্তের। এর জেরে গত কয়েক মাস ধরে দুজনের মধ্যে বেশ অশান্তি চলছিল। শেষ পর্যন্ত এই সন্দেহই নব্যার জীবনে ইতি টানল। ২৪ বছরেই থেমে গেল তাঁর জীবন। ঘটনার খবর পেয়েই প্রশান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজাগোপালনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নব্যার দেহ ময়না তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।