নয়া দিল্লি : ১২ বছর বা তার বেশি বয়সিদের জন্য করোনা মোকাবিলায় আপদকালীন ব্যবহারের অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Bharat Biotech’s Covaxin)। শনিবার কোভ্যাক্সিনকে এই অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ামক ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (DCGI)। উল্লেখ্য, এই অনুমোদন কেবলমাত্র ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সিদের এই টিকা দেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (Subject Expert Committee) অক্টোবরে ডিজিসিআইয়ের কাছে শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনকে জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। এখন ভারতে শিশুদের ব্যবহারের জন্য অনুমতি পাওয়া দ্বিতীয় টিকা হিসেবে জরুরিকালীন অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।
এর আগে অগস্টে, জাইডাস ক্যাডিলার তিন-ডোজের ডিএনএ ভিত্তিক করোনা টিকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং ১২ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের জন্য ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজগুলির মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’টি ডোজ় দেওয়া হবে শিশুদের। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবধান এবং ডোজ সরকারের কাছে জমা দেওয়া ট্রায়াল তথ্য অনুসারেই হবে।
এতদিন পর্যন্ত ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) দ্বারা অনুমোদিত একটিমাত্র ভ্যাকসিন ছিল যা ১২ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা ছিল জাইকোভ-ডি। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কোভ্যাক্সিনও। DCGI-এর বিশেষজ্ঞ প্যানেল হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ১২-১৮ বছর বয়সিদের জন্য কোভ্যাকসিনের সুপারিশ করেছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছিল যে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে কোম্পানির কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
এদিকে সম্প্রতি সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা শিশুদের টিকা দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ আমি মনে করি আপনার শিশুদের টিকা দেওয়া উচিত। এতে কোনও ক্ষতি নেই, এই ভ্যাকসিনগুলি নিরাপদ এবং কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং তারপরে এই বিষয়ে এগোনো যেতে পারে।” ভারতে বেশ কয়েকটি ধাপে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম ধাপের টিকা শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি। এর আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন : Good Governance Index: সুশাসনের সূচকে শীর্ষে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া; ভাল কাজ যোগীরাজ্যেও