Rajya Sabha elections: এবার খেলা রাজ্যসভার ১০ আসনে, পাল্লা ভারী NDA-র, তবে ওঁত পেতে শরিকরা…

Jun 14, 2024 | 2:53 PM

Rajya Sabha elections: এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যসভার ১০ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে লোকসভায় পাড়ি দিয়েছেন। ফলে, সংসদের উচ্চকক্ষের ১০টি আসন খালি হয়ে গিয়েছে। তাই লোকসভা ভোট মিটতেই

Rajya Sabha elections: এবার খেলা রাজ্যসভার ১০ আসনে, পাল্লা ভারী NDA-র, তবে ওঁত পেতে শরিকরা...
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের ফল দেশের রাজনৈতিক ছবিটা অনেকটাই বদলে দিয়েছে। একইসঙ্গে, রাজ্যসভাতেও শাসক-বিরোধী সাংসদের সংখ্যার বারসাম্যটা বদলে যেতে পারে। আসলে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যসভার ১০ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে লোকসভায় পাড়ি দিয়েছেন। ফলে, সংসদের উচ্চকক্ষের ১০টি আসন খালি হয়ে গিয়েছে। অসম, বিহার ও মহারাষ্ট্রের ২টি করে আসন এবং হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ত্রিপুরার ১টি করে আসন। রাজ্যসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এই শূন্য পদগুলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কাজেই নির্বাচন কমিশন যেকোনও সময়ই রাজ্যসভার এই ১০টি আসনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে। কংগ্রেস এবং তার নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট লোকসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করলেও, রাজ্যসভায় তারা ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই দশটি আসনের মধ্যে সাতটি ছিল বিজেপির, দুটি কংগ্রেসের এবং একটি আরজেডির। তার উপর এই ১০টি রাজ্যেই এনডিএ-র পাল্লা ভারী।

কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল এবং দীপেন্দর হুডা রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন যথাক্রমে রাজস্থান এবং হরিয়ানা থেকে। দুজনেরই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দুই বছর করে মেয়াদ বাকি আছে। তবে, ইতিমধ্যে রাজস্থানে ক্ষমতার হাতবদল ঘটেছে। কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এই অবস্থায়, এই রাজ্যসভা আসনটি কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যদিকে, হরিয়ানার রাজনৈতিক সমীকরণ এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে, বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রায় সমান শক্তিতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যসভার আসনটির জন্য বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। বড় ভূমিকা নিতে পারে নির্দল এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলের বিধায়করা।

আরজেডি নেত্রী মিসা ভারতী রাজ্যসঙার সদস্য ছিলেন বিহার থেকে। তিনি ছাড়াও, বিজেপির বিবেক ঠাকুর জেতায় বিহারে আরও একটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। রাজ্য বিধানসভার যা অবস্থা, তাতে দুই আসনেই একসঙ্গে ভোট হলে, বিজেপি এবং আরজেডি-র একটি করে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই আসনদুটিতে ভোট করা হয়, তবে আরজেডির পক্ষে রাজ্যসভার আসনটি ধরে রাখা কঠিন হবে। কাজেই, ইন্ডিয়া জোট তাদের হাতে থাকা তিনটি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে অন্তত দুটি হারাতে পারে।

বিজেপি-র হাতে থাকা সাতটি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে দুটি ছিল অসম থেকে। সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং কামাখ্যা প্রসাদ তাসা দুজনেই লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অসমে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আছে। কাজেই এই দুটি আসন ধরে রাখা তাদের পক্ষে কঠিন নয়। এছাড়া, ত্রিপুরা থেকে বিপ্লব দেব এবং মধ্য প্রদেশ থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জেতায় আরও দুটি রাজ্যসভার আসন খালি হয়েছে। দুই রাজ্যেই, বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা বিরোধী দলগুলির তুলনায় অনেক বেশি। ফলে এই দুই আসনও বিজেপির পক্ষে ধরে রাখা নিশ্চিত।

মহারাষ্ট্রে, বিজেপির পীযূষ গোয়েল এবং উদয়ন রাজে ভোসলে লোকসভায় জয়ী হওয়ায়, সেখানকার দুটি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে দুটি রাজ্যসভার আসন খালি হয়েছে। এখানে, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপি-র সঙ্গে যৌথভাবে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। এনডিএ বিধায়ক সংখ্যার ভিত্তিতে দুটি আসনেই জয়ের বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে, এখআনে শরিকদের দাবিদাওয়ার বিষয় আছে। অজিত পওয়ারের এনসিপি, দুটি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটির দাবি জানিয়েছে। তৃতীয় মোদী সরকারে এনসিপি কোনও মন্ত্রক গ্রহণ করেনি। কাজেই, তাদের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতেও পারে বিজেপি। বিশেষ করে, লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র কোনও দলের ফলাফলই সন্তোষজনক হয়নি। শোনা যাচ্ছে, অজিত পওয়ারের স্ত্রী, সুনেত্রা পওয়ারকে রাজ্যসভায় পাঠানো পারে এনডিএ।

বর্তমানে, রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৯০। আর এনডিএ-র অন্যান্য শরিক দলগুলির সদস্য সংখ্যা ১১। সাতজন মনোনীত এবং তিনজন নির্দল সাংসদেরও সমর্থন রয়েছে বিজেপির দিকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার উপনির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি-র সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ে কিনা, সেই দিকেই চোখ রয়েছে সকলের।

Next Article