নয়া দিল্লি ও কলকাতা : “বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমানিত করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার এমনটাই বলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। আর তাই পদ্মফুল একেবারেই না-পসন্দ বিধায়কের। প্রতিবাদে পদ্মফুল ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার মদনের এই হেন কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ তথা বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর (Rajya Vardhan Rathore)। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে মদন মিত্রের শুভবুদ্ধির প্রার্থনা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছেন,”যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রক্ষক, সেই বিষ্ণুর নাভি থেকে জন্মেছে পদ্ম, যার উপরে বিশ্বজগতের স্রষ্টা ব্রহ্মা বিরাজ করছেন, যা ভারতের জাতীয় ফুল, মহাশয় সেটাই নির্মূল করে দিতে চান। কারণ, এটি বিজেপির প্রতীক। এই ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সহনশীলতা তৃণমূলের কোথা থেকে আসে? ভগবান সদবুদ্ধি দিন!”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই নিজের বিধানসভা এলাকায় এক মেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সেখানে একটি পদ্ম ফুলকে ছিঁড়তে ছিঁড়তে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এটা হচ্ছে ফুলের মেলা। আমরা পদ্মকে টুকরো টুকরো করলাম। এই পদ্ম আর কোনওদিন বেলঘড়িয়ার ফুলের মেলায় থাকবে না। কারণ, আমরা মনে করি, বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমান করা হয়েছে। এটা যেহেতু বিজেপির প্রতীক চিহ্ন, তাই এতে মায়ের অপমান করা হচ্ছে। তাই পদ্মের বদলে জবা দিয়ে আমরা তোমার কাছে এই কথাই বলব – আমরা পদ্মকে ফিরিয়ে দিলাম।”
বর্তমান রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষিতে এই ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে যখন বাংলার একাধিক বিশিষ্ট শিল্পী পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করছেন – তখন বিভিন্ন মহল থেকে সওয়াল উঠছে, পদ্ম সম্মান দিয়ে বাংলাকে অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বেলঘড়িয়ার ফুলের মেলায় পদ্ম ফুল ছিঁড়ে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। একদিকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের পদ্মশ্রী দিয়ে ‘অপমানিত’ করার যে অভিযোগ উঠছে, সেটিকে আরও উস্কে দেওয়া গেল। সেই সঙ্গে বিজেপির প্রতীক ছিঁড়ে সরাসরি গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করাও হল। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টুইটারে সরব হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর।
আরও পড়ুন : Mallikarjun Kharge: সব সরকারি চাকরি তুলে দিতে চায় বিজেপি, আশঙ্কা প্রকাশ কংগ্রেস সাংসদের