নয়া দিল্লি: সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজ্যসভায়, ধাপে ধাপে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী। তবে, ২০১৬ সালের নোট বাতিলের সময় যেভাবে একদিনে ১০০০ এবং পুরোনো ৫০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল, সেভাবে নয়। সুশীল মোদী জানিয়েছেন, যাঁদের কাছে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাদের সেই নোটগুলি ফের দেওয়ার জন্য অন্তত দুই বছর সময় দিতে হবে। এদিন রাজ্যসভায় জ়িরো আওয়ারে এই বিষয়টি তোলেন তিনি।
সুশীল মোদী আরও জানান, দেশের অধিকাংশ এটিএম থেকে ২০০০ টাকার নোট অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। তিন বছর আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে। গুঞ্জন শোনা যায়, ২০০০ টাকার নোট শিগগিরই অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পুরোনো ৫০০ টাকার নোট এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে, নতুন ৫০০ টাকার নোট এবং ২০০০ টাকার নোট বাজারে এনেছিল মোদী সরকার।
তিনি আরও বলেন, ২০০০ টাকার নোট এখন কালো টাকার সমান হয়ে গিয়েছে। মাদকের লেনদেন কিংবা তহবিল তছরূপের মতো বেআইনি লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নোটই সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই নোট জমিয়ে রাখছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও জানান, প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে এত বড়মূল্যের ব্যাঙ্কনোট ছাপা হয় না। সুশীল মোদী বলেন, “১০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করার পর, ২০০০ টাকার নোট আনার কোনও যুক্তি নেই। সরকারের উচিত ধাপে ধাপে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া। নাগরিকদের তাদের হাত থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি বাতিলের জন্য দুই বছর সময় দেওয়া উচিত।”