রাহুলের বৈষ্ণদেবী যাত্রাপথ গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Sep 16, 2021 | 3:11 PM

Rahul Gandhi, vaishno devi রাহুল গান্ধী ১৩ কিলোমিটার হেঁটে বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শন করেন। কাটরা বেসক্য়াম্প থেকে যাত্রা শুরু করেন রাহুল। রিয়াসি জেলার ত্রিকুট পাহাড়ের উপরে গুহায় অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছে আরতি করেন।

রাহুলের বৈষ্ণদেবী যাত্রাপথ গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি
বৈষ্ণদেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের সঙ্গে রাহুল। ছবি- টুইটার

Follow Us

কংগ্রেস (Congress) শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বৈষ্ণদেবী মন্দির সফরের পর, তাঁর যাত্রাপথ গঙ্গাজল ছিটিয়ে পরিশুদ্ধ করল জম্মু কাশ্মীরের বিজেপির যুব সংগঠন, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (Bharatiya Janta Yuva Morcha)। গঙ্গাজল ছিটিয়ে রাস্তা শুদ্ধ করার এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন জম্মু কাশ্মীর বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অরুণ জামওয়াল।

বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য সমর্থকরা রাস্তা পরিশোধনের সময় গঙ্গাজল ছেটানোর পাশাপাশি একতার মন্ত্র পাঠ করেন তাঁরা। বিজেপির অভিযোগ,রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস দলের কর্মীদের আচরণে এই মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। বিজেপির (BJP) এক কর্মীর কথায়, “মন্দিরে দলের পতাকা নিয়ে প্রবেশ করেন রাহুল গান্ধী। সে সময় কর্মী-সমর্থকরা উচ্চস্বরে সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)-সহ কংগ্রেস নেতানেত্রীদের নামে স্লোগান দিতে থাকে।” ওই বিজেপি কর্মীর আরও অভিযোগ, এই মন্দিরে শুধুমাত্র বৈষ্ণদেবীর নাম-জপ করা হয়, তার পরিবর্তে কংগ্রেস দল এখানে সংকীর্ণ রাজনীতি করেছে। তারই প্রতিবাদ করে এই পবিত্র ভূমিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে পরিশুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন ‘শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে’, মৃত্যুর জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন মোল্লা বরাদর

 

গত ৯ সেপ্টেম্বর, রাহুল গান্ধী ১৩ কিলোমিটার হেঁটে বৈষ্ণদেবী মন্দির দর্শন করেন। কাটরা বেসক্য়াম্প থেকে যাত্রা শুরু করেন রাহুল। রিয়াসি জেলার ত্রিকুট পাহাড়ের উপরে গুহায় অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছে আরতি করেন। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না।

ওই দিন এক বিবৃতিতে রাহুল জানান, কাশ্মীরে এসে তিনি নিজের বাড়ির মতো অনুভব করছেন। রাহুল জানান “বৈষ্ণদেবী মাতার মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে নিজের বাড়ির মতো অনুভূতি পেয়েছি। রাজ্য থেকে বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হওয়া জম্মু কাশ্মীরের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। বিজেপি ও আরএসএস জম্মু কাশ্মীরের ভালবাসা ও ভাতৃত্বের ঐতিহ্যকে ভেস্তে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরে এসেছিলেন রাহুল। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একমাসের মধ্যে রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস শীর্ষনেতার জম্মু কাশ্মীর সফর ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। বছরভর বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বার বার খবরের শিরোনামে এসেছে কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছিল ভারতের ভূস্বর্গ। বিভিন্ন সূত্রের দাবি খুব দ্রুত কাশ্মীরে ভোটের পথে হাঁটতে পারে মোদী সরকার, তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। তাছাড়াও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদের (Ghulam Nabi Azad) সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে রাহুলের মতের অমিল প্রকাশ্যে এসেছিল। তাই দলীয় সংগঠনের রাশ নিজের হাতে রাখার জন্যই রাহুলের এই ঘন ঘন কাশ্মীর সফর। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

 

আরও পড়ুন দু’দিনের জ্বরেই মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের, হাসপাতালে নেই বেডও! ১৫ দিন পরেও অজানা জ্বরে কাঁপছে ফিরোজাবাদ

Next Article