নয়া দিল্লি: বড়দিনে কৃষকদের ‘সান্তা’ হতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আর তাঁর এই স্বপ্নকে পূরণ করতে কোনও অংশে খামতি রাখছে না বিজেপি (BJP)। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে এক কোটি মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যে জায়েন্ট স্ক্রিন থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে প্রচারপত্র, বাদ পড়েনি কিছুই।
কৃষক আন্দোলনের (Farmer’s Protest) এক মাস পূরণ হতে বাকি আর একদিন। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আজ প্রধানমন্ত্রী দেশের নয় কোটি কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানও স্পষ্ট করবেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ স্কিমের আওতায় মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভাষণ যাতে দেশের প্রতিটি কোণার কৃষকদের কাছে পৌঁছে যায়, সেই উদ্দেশে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) প্রতিটি ব্লক স্তরে বড় স্ক্রিন লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হওয়ার আগে প্রতিটি জেলাস্তরে অনুষ্ঠান করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। মান্ডি ও এপিএমসি মার্কেট (APMC Markets)-গুলিতেও শোনানো হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ফের অবস্থান বদলে নাইট কার্ফু তুলে নিল ইয়েদুরাপ্পা সরকার
তবে এখানেই শেষ নয়, দলের সমস্ত নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়কদেরও মোদীর বক্তৃতা চলাকালীন কোনও জমায়েতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) যাবেন দক্ষিণ দিল্লির কিসানগড় গোশালায়। অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) উপস্থিত থাকবেন নজফগড়ের কাকরোলায়।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের লেখনীতে বিশেষ প্রচারপুস্তিকা (Leaflets)-ও ছাপিয়ে বিলি করা শুরু হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যে লেখনী স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করা হলেও তাতে যেন কোনও কাটছাট না হয়, সেই বিষয়েও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকালই কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়াল (Vivek Agarwal) আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনদের ফের একবার চিঠি পাঠিয়ে আলোচনার দিনক্ষণ নির্ধারণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও সেই চিঠিতে কৃষি আইন বা ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য (MSP) বজায় রাখার বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। বুধবার সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান, তাঁরা কেন্দ্রের কাছ থেকে একটি “কংক্রিট” লিখিত প্রস্তাব চান, একইসঙ্গে রবিবার বর্ষশেষে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ‘মন কি বাত’ (Maan ki Baat) বয়কট করার ডাকও দেন।
আরও পড়ুন: শবরীমালায় পুণ্যার্থী সংখ্যা নিয়ে হাইকোর্টের সঙ্গে বিরোধ, সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ কেরল সরকার