রেজাল্ট না বের করলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে, ইউনিভার্সিটিতে এল হুমকি চিঠি
Bomb threat: বোমা মেরে ক্যাম্পাস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এসেছে মেল। ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মুম্বই: বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশ করেনি মুম্বই ইউনিভার্সিটি। যদি সেই ফলপ্রকাশ করতে আরও দেরি হয়, তাহলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। এমনই হুমকি দিয়ে মেল এল মুম্বই ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আধিকারিক জানিয়েছেন, স্নাতক স্তরের তিনটি পরীক্ষা বিএ, বিএসসি ও বি কমের ফল প্রকাশ হয়নি এখনও। সেই ফলাফল ঘোষণার জন্যই এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অনুমান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের।
ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্স পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মেল দেখে আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেও অভিযুক্তদের বের করে সম্ভব হবে। বান্দ্রা কুর্লা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মুম্বই পুলিশের সাইবার সেলের সহযোগিতা নিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছেন ইউনির্সিটির পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তথা ডিরেক্টর অফ এগজামিনেশন অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের কাছে এই মেল এসেছে। করোনা পরিস্থিতির জন্যই ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৫ দিনের মধ্যে পরপর দুটি বিস্ফোরণের হুমকি মেল এসেছে পুলিশের কাছে। গত ৪ অগস্ট প্রথম মেলটা আসে মুম্বইয়ের মার্কিন কনস্যুলেট উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে। পরের মেলটি আসে ঠিক তিন দিন পর অর্থাৎ ৭ অগস্ট। সেই মেলে বলা হয়েছিল ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের কাছে জুহুতে ও দাদর রেল স্টেশনের কাছে বোমা রাখা আছে। অমিতাভ বচ্চনের বাংলর একেবারে কাছেই বোমা রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় মেলে। কোনও সন্দেহজনক কোনও বস্তু না মিললেও প্রতিটি জায়গাই জনবহুল হওয়ায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করা হয়।
মাস কয়েক আগে মুম্বইতে মুকেশ আম্বানীর বাড়ির সামনে মেলে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। একটি পরিত্যক্ত গাড়িতে রাখা ছিল বোমা। সেই তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। বিলাসবহুল বাড়ি ‘আন্তিলা’র সামনে একটি এসইউভি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাতে ছিল বিস্ফোরক। জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয় সেই গাড়ি থেকে। পরে জানা যায়, ওই এসইউভি ছিল পুনের এক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরণের। ঘটনার কয়েকদিন পর সেই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। সেই রহস্যমৃত্যুর পিছনে পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ের ভূমিকা ছিল। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই অফিসারকে। আরও পড়ুন: ‘এই যন্ত্রণা ভোলার নয়’, ১৪ অগস্ট ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসাবে পালনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর