‘এই যন্ত্রণা ভোলার নয়’, ১৪ অগস্ট ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসাবে পালনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
Partition Horrors Remembrance Day: প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, "এই দিনটি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিক যে সামাজিক বিভাজন, বিভেদ দূর করে একতা, সামাজিক সম্প্রীতি এবং ক্ষমতায়নের চেতনাকেই আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিতে থাকুক।"
নয়া দিল্লি: স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে পা দিতে চলেছে দেশ। তার আগেই দেশবিভক্ত হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজীবন এই দিনটি মনে রাখতে ঘোষণা করলেন এই দিনটি “দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস” (Partition Horrors Remembrance Day) হিসাবে পালন করা হবে। এ দিন টুইটারে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী, বলেন, “দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলা যাবে না।”
এ দিন প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, “দেশভাগের এই কষ্ট ভোলার নয়। এই দিনেই আমাদের লক্ষাধিক ভাইবোন একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন এবং বহু মানুষ কেবল হিংসা ও ঘৃণার জেরে নিজেদের প্রাণ হারিয়েছিলেন। স্বাধীনতার জন্য দেশবাসীর আত্মত্যাগ ও প্রচেষ্টাকে সম্মান জানিয়েই ১৪ অগস্ট দিনটি দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস হিসাবে পালন করা হবে।”
তিনি আরও লেখেন, “এই দিনটি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিক যে সামাজিক বিভাজন, বিভেদ দূর করে একতা, সামাজিক সম্প্রীতি এবং ক্ষমতায়নের চেতনাকেই আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিতে থাকুক।”
May the #PartitionHorrorsRemembranceDay keep reminding us of the need to remove the poison of social divisions, disharmony and further strengthen the spirit of oneness, social harmony and human empowerment.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 14, 2021
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পেলেও দেশকে ভেঙে দু’টুকরো করে দেওয়া হয়। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বদলে তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তান। দেশভাগের জেরে ঘরছাড়া হন লক্ষাধিক মানুষ। শুরু হয় ধর্মীয় ভেদাভেদ, গণলুন্ঠন সহ নানা বীভৎস ঘটনা। দেশভাগের সেই যন্ত্রণাকেই স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী আজকের দিনটি বিশেষভাবে মনে রাখার অনুরোধ করলেন।
আগামিকাল স্বাধীনতা দিবস। ৭৫ তম বর্ষে পা দেওয়ার উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ সপ্তাহ আগেই “আজাদি কা মহোৎসব (Azadi ka Amrit Mahotsav) অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ৯১ বছর আগে ১২ মার্চ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ডান্ডি পদযাত্রার সূচনা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)।সেই দিন থেকেই আজাদি কা মহোৎসবের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতীকী ডান্ডি পদযাত্রার মাধ্যমে শুরু করা হয় এই বিশাল কর্মসূচির।