Bombay High Court: শিক্ষিত হলেই মহিলাকে কাজ করতে হবে, এর কোনও মানে নেই: আদালত

Court: সেই আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার। তখনই আদালত জানায়, এক জন মহিলা “কাজ করবেন না বাড়িতে বসে থাকবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ।”

Bombay High Court: শিক্ষিত হলেই মহিলাকে কাজ করতে হবে, এর কোনও মানে নেই: আদালত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 5:22 PM

মুম্বই: শিক্ষিত হলেই কাজ করতে যেতে হবে, এ ভাবে বাধ্য করা যায় না মহিলাদের। কোনও শিক্ষিত মহিলা রোজগারের জন্য কাজ করতে যাবেন, না বাড়িতে বসে থাকবেন- তা তাঁর সম্পূর্ণ নিজের পছন্দ। সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে এ রকমই জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। বিবাহ বিচ্ছিন্না এক মহিলাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁর স্ত্রী শিক্ষিতা। নিজে চাকরি করে রোজগার করতে সক্ষম। তাই বিচ্ছিন্না স্ত্রীকে কেন তিনি ক্ষতিপূরণ দিতে যাবেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি ভারতী ডাঙ্গরে মেয়েদের রোজগারে বাধ্য করার ব্যাপারে এ কথা শুনিয়েছেন।

সম্প্রতি পুণের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। ওই ব্যক্তির ১৩ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে খোরপোশ হিসাবে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা ও মেয়ের জন্য ৭ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই ব্যক্তির মেয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন। ওই ব্যক্তির বক্তব্য ছিল, তাঁর স্ত্রীর রোজগারের উৎস রয়েছে। কিন্তু আদালতের কাছে সেই তথ্য গোপন করেছেন তিনি। এর পর অজিঙ্কে উদানে নামের এক আইনজীবীর মাধ্যমে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই আইনজীবী ওই ব্যক্তির হয়ে আদালতে জানান, ‘অবৈধভাবে’ তাঁর মক্কেলকে খোরপোশ দিতে বলেছে আদালত। তাঁর বিবাহ বিচ্ছিন্না স্ত্রী স্নাতক। জীবনযাপনের জন্য কাজ করে রোজগার করতে সক্ষম।

সেই আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার। তখনই আদালত জানায়, এক জন মহিলা “কাজ করবেন না বাড়িতে বসে থাকবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ।” এ নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ডাঙ্গরে বলেছেন, “পরিবারের আর্থিক খরচ মহিলাকে জোগাতে হবে, তা আমাদের সমাজ এখনও পুরোপুরি ভাবে গ্রহণ করেনি। মহিলা কাজ করবেন কি না, তা তাঁর নিজস্ব পছন্দ। তিনি স্নাতন বলেই তাঁকে কাজ করতে যেতে বাধ্য করা যায় না। স্নাতক বলে বাড়িতে বসে থাকতে পারবেন না, এর কোনও মানে নেই।”

এর পরই নিজের কাজের উদাহরণ টেনেছেন ওই মহিলা বিচারপতি। তিনি বলেছেন, “আজ আমি এই আদালতের বিচারপতি। ধরে নিলাম, কাল থেকে আমি কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে থাকব। তখন কী আমাকে বলা যায়, আমি বিচারপতির হওয়ার যোগ্য, তাই আমার বাড়িতে বসে থাকা উচিত নয়।”