নয়া দিল্লি: ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ (Bulli Bai) ঘিরে সরগরম গোটা দেশ। নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। মহিলাদের ছবি ‘নিলাম’ করার জন্য ব্যবহৃত ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপের সঙ্গে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত নীরজ বিষ্ণোইকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হেফাজতে রয়েছে আপাতত সে। অভিযুক্ত নীরজ পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (IFSO) স্পেশাল সেলের ডিসিপি কেপিএস মলহোত্রা। অভিযুক্ত যুবক দু’বার নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে নীরজ বিষ্ণোইকে গ্রেফতারির পরই বুল্লি বাই তদন্তে নতুন মোড় নিতে শুরু করেছে। পুলিশি জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। স্পেশাল সেলের ডিসিপি মলহোত্রা জানিয়েছেন, “অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে সে ‘সুল্লি ডিলস’-এর নির্মাতাদের চেনে। ওই অ্যাপেও মহিলাদের ছবি নিলাম করা হত। সে এটাও স্বীকার করেছে যে শ্বেতা সিং নামে অ্যাকাউন্টটির যে ব্যবহারকারীকে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তার অ্যাকাউন্টেও ঢুকতে পারত সে।”
উল্লেখ্য ২১ বছর বয়সি নীরজ ভোপালের একটি ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। চলতি সপ্তাহে অসমের জোরহাট জেলা থেকে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, পুলিশ ইতিমধ্যেই মাইক্রোসফ্টের মালিকানাধীন সফ্টওয়্যার-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গিটহাবে হোস্ট করা এই অ্যাপটি তৈরি করতে ব্যবহৃত ডিভাইসটি উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গিটহাব প্রাথমিকভাবে বুল্লি বাই অ্যাপটিকে ব্লক করে দিয়েছিল। পরে অ্যাপটি ডিলিট হয়ে যায়।
এই ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটি ছিল অনেকটাই ‘সুল্লি ডিলস’অ্যাপের মতো। এককথায় সুল্লি ডিলসের একটি ক্লোন বলা চলে বুল্লি বাইকে। উল্লেখ্য বুল্লি বাই অ্যাপে জড়িত সন্দেহ চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেই ময়ঙ্ক রাওয়াল, শ্বেতা সিং এবং বিশাল কুমার ঝাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নীরজ বিষ্ণোইয়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার কোনও আঘাত লাগেনি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মানসিক অবস্থার কারণেই ওই যুবক আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে থাকতে পারে। অথবা সে তদন্ত প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চায়। এমনটাই মনে করছে দিল্লি পুলিশ।
ডিএসপি মলহোত্রা আরও বলেন, “অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে ভার্চুয়ালি মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং টুইটার গ্রুপ চ্যাটের মাধ্যমে তাদের কথাবার্তা হত। সে কখনও মুম্বইয়ের ধৃতদের সঙ্গে দেখা করেননি এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরও ছিল না। মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শ্বেতার টুইটার অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করছিল সে।”
আরও পড়ুন: Covid Cases in Mumbai: মুম্বইতে কমল সংক্রমণ! আশার আলো বাণিজ্য নগরীতে