Supreme Court: আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারে পুলিশ? বড় রায় শীর্ষ আদালতের
Supreme Court Police Purview: এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চলা ঘুষের মামলায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় রাজ্য পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন সেই অভিযুক্ত। উচ্চ আদালত অভিযুক্তের পক্ষে রায়দান করে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কোনও সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-র অধীনে তদন্ত করতে পারে, জেরা করতে পারে, সর্বোপরি গ্রেফতারও করতে পারে।

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইডি আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় এসএসসি দুর্নীতিতে নাম জড়ানো অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইডি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায় তীব্র অনটনে পড়েছেন তিনি। ইডি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গোলযোগের তদন্ত করে। তাঁদের হাতে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষমতা কি পুলিশের রয়েছে? আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত তারাও করতে পারেন। কিন্তু তারা কি অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে পারেন? সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে উঠেছিল প্রশ্ন।
মামলার নেপথ্যে
এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চলা ঘুষের মামলায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় রাজ্য পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন সেই অভিযুক্ত। উচ্চ আদালত অভিযুক্তের পক্ষে রায়দান করে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কোনও সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-র অধীনে তদন্ত করতে পারে, জেরা করতে পারে, সর্বোপরি গ্রেফতারও করতে পারে। কিন্তু তাঁরা ফৌজদারি ধারার ১০২ অর্থাৎ যে আইনের আওতায় অভিযুক্তের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়, তা ব্যবহার করতে পারে না। পাশাপাশি, সেই সময় অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ বা মুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি: তদন্তের খাতিরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা প্রয়োজন। অভিযুক্ত যাতে সেই ‘অবৈধ আমানতে’ কোনও ভাবে প্রভাব খাটাতে না পারে, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই পুলিশকে এই পদক্ষেপ করতে হয়।
অভিযুক্তের আইনজীবীর যুক্তি: দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন যেমন তদন্তকারীদের পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে তদন্তের পথ খুলে দিচ্ছে, ঠিক তেমনই এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া রয়েছে যে অনুমোদন ছাড়া তাঁরা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারবে না।
সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ: এটা ঠিক কথা যে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮ এবং ফৌজদারি ধারা ১০২ ভিন্ন পরিসরে ব্যবহারের জন্য তৈরি। কিন্তু তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে যদি অভিযুক্ত আমানত জব্দ করা না হয় তা হলে পরবর্তীতে তদন্তে প্রভাব পড়ার গুরুতর সম্ভবনা রয়েছে। এরপরে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে আদালত। আমানত জব্দের সিদ্ধান্তকেই বলবৎ রাখে।
