মুজাফফরপুর: সমাজের পিছিয়ে পড়া গরীব মানুষদের সহায়তায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন। সেখানে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি চক্ষু পরীক্ষা ও ছানি অস্ত্রপ্রচারও করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পাওয়া এই স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ শিবির থেকে চিকিৎসায় পরিনাম হয় হিতে বিপরীত। এই দাবিকেই জোরালো করল বিহারের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে বিনামূল্যে হওয়া চক্ষু পরীক্ষা শিবির থেকে চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছিলেন অনেকে। সেই বিনামূল্যের শিবির থেকে অস্ত্রপ্রচারের পর সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ২০ জন। এই ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ব্রক্ষ্মপুরা থানা অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডাক্তার ও তাঁকে সাহায্য করা স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুজাফফরপুরের সিভিল সার্জেন বিনয় কুমার শর্মা জানিয়েছেন, চলতি মাসের ২২ তারিখে ওই ক্যাম্প আয়োজিত হয়েছিল ও মুজাফফরপুর চক্ষু হাসপাতালের পরিচালনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ওই ক্যাম্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, জুরান ছাপড়া এলাকার ওই বিনামূল্যের ক্যাম্প থেকে মোট ৬৫ জন চোখে ছানির অস্ত্রপ্রচার করিয়েছিলেন। অস্ত্রপ্রচারের কিছুদিন পরেই অনেকেই চোখে ব্যথা ও অন্যান্য নানা সমস্যা অনুভব করেন। দেহের অন্য অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে চার রোগীর দেহ থেকে চোখ বের করে নেওয়া হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন মেডিক্যাল কমিটির এক সদস্য। এর পর আরও ১১ জন ভুক্তভোগীকে উত্তর বিহারে সব থেকে বড় সরকারি হাসপাতাল এসকেএমসিএইচ একই ধরনের চিকিৎসা করা হয়।
হাসপাতালের সুপার বি এস ঝা জানিয়েছেন, “ওই শিবির থেকে ছানির অস্ত্রপ্রচার করেছেন এমন ২১ জন রোগী নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের অপথ্যালমোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।” মুজাফফরপুরে জেলাশাসক প্রনব কুমার জানিয়েছেন, “ওই চক্ষু হাসপাতালকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি যেকোনও ধরনের অপারেশনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমরা ওই ক্যাম্প থেকে অস্ত্রপ্রচার করা সকলের তথ্য সংগ্রহ করেছি। তারা সকলেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেনষ কোনও সমস্যা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা শাসক আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অস্ত্রপ্রচারের পর সংক্রমণ থেকেই যাবতীয় সমস্যা হয়েছে। সেই সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন Rajnath on soldiers: সেনা ও তাঁর পরিবারের দায়িত্ব সমাজের ওপরও বর্তায়, বললেন রাজনাথ সিং