নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সেনাকর্মী ও তাদের পরিবার নিয়ে সমাজকে সচেতন করেন। তিনি জানিয়েছেন, সেনারা দেশের সেবায় নিজেদের জীবন নিয়োজিত করেন। তাই সেনা ও তাঁর পরিবারের যাবতীয় উন্নতির প্রতি সমাজেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই যেসকল বীর যোদ্ধারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাদের পরিবারকে ভাল রাখার নৈতিক দায়িত্ব সমাজের সকলের ওপরই বর্তায়।
সশস্ত্র জওয়ানদের এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “যেভাবে সেনা জওয়ানরা আমাদের সকলকে নিরাপত্তা দেন, ঠিক একইরকম ভাবে মৃত সেনা কর্মীর পরিবারকে ভাল রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের”
তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নিজেদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে আমাদের সকলেরই বড় হৃদয় নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের সকলকেই দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমাদের সেনাদের প্রতিষ্ঠানগতভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত থাকা উচিৎ নয় যে দেশের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম প্রাধান্য। আমার যদি এটা মেনে নিতে পারি, তবে আমরা আরও স্পষ্ট করে বলতে পারব যে সেনাদের প্রতি সমাজ দায়বদ্ধ। কারণ আমাদেরকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই তারা তাদের পরিবারের থেকে দূরে থাকেন।”
কোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেনাদের কাজ করতে হয় সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে রাজনাথের গলায়। তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে সেনারা দেশকে নিরাপদে রাখার কাজ করে গিয়েছেন, সেটা বর্ণনা করা খুবই কঠিন। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুদ্ধে জয়লাভ করা হোক বা সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসী তৎপরতার মোকাবিলা হোক, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করেছে।”
সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান, মৃত সেনা কর্মীর পরিবারের দেখভালের জন্য যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন এদিন তাদেরও নতমস্তকে প্রণাম জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। করোনা মহামারির সময়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে, যোগাযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা যে সাহায্য করেছেন তাদের ও প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।