ব্যাঙ্কে ভুয়ো কাগজ দেখিয়েই ৬ হাজার কোটিরও বেশি হাতিয়ে নিয়েছিল চোকসির সংস্থা, জানাল সিবিআই
চার্জশিটে জানানো হয়েছে, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কর্মীরাই মেহুল চোকসির সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জালিয়াতিতে সাহায্য করত।
নয়া দিল্লি: ভুয়ো ও নকল করা কাগজপত্র দেখিয়েই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৬ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকারও বেশি আদায় করে নিয়েছিল মেহুল চোকসির সংস্থাগুলি। সম্প্রতি সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে জানা গিয়েছে এমনই তথ্য।
পিএনবি দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই পলাতক ছিলেন হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ইন্টারপোলও তার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে। গত মাসেই অ্যান্টিগুয়া থেকে কিউবা পালানোর পথে ডমিনিকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান পলাতক চোকসি। বর্তমানে তিনি ডমিনিকার জেলেই বন্দি রয়েছেন।
এ দিকে, দীর্ঘ তিন বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর গত সপ্তাহেই মুম্বইয়ে স্পেশাল কোর্টের কাছে একটি প্রাথমিক চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেই চার্জশিটেই জানানো হয়েছে, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কর্মীরাই মেহুল চোকসির সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জালিয়াতিতে সাহায্য করত। মুম্বইয়ের ব্রাডি হাউস শাখাতেই ১৬৫টি অঙ্গীকারপত্র, ২০১৭ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসের ৫৮টি বিদেশের ঋণপত্র জমা দেওয়া হয়, যার বদলে ৩১১টি বিলে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, ওই অঙ্গীকার ও ঋণপত্রগুলি চোকসির সংস্থার নামেই ছিল। প্রসঙ্গত, এই অঙ্গীকারপত্র বা লেটার অব আন্ডারটেকিং হল বিদেশী ব্যাঙ্কের কাছে গ্রাহকের হয়ে ব্যাঙ্কের গ্যারান্টি। যদি গ্রাহক ঋণ পরিশোধ না করতে পারে, তবে ঋণ মেটানোর সমস্ত দায়ভার ব্যাঙ্কের উপরই এসে পড়ে। এই চিঠিগুলির উপর ভিত্তি করেই স্টেট ব্যাঙ্ক মরিশাসের ব্যাঙ্কের জন্য, এলাহাবাদ ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক হংকংয়ের জন্য, কানাড়া ব্যাঙ্ক মামানার ব্যাঙ্কের জন্য গ্যারান্টি দিয়েছিল।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, “মেহুল চোকসি বকেয়া অর্থ না মেটানোয় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককেই ৬,৩৪৪.৯৭ কোটি টাকা দিতে হয়।” ব্যাঙ্কের তরফ থেকে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৮০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ আনা হলেও মোট অর্থের পরিমাণ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: হাসপাতালের ৯ তলা থেকে বেরোচ্ছিল লেলিহান শিখা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রোগীরা