‘টিকার জন্য ভারতের উপরই নির্ভর করবে গোটা বিশ্ব’, আশাবাদী কোভিড কমিটির প্রধান
কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান ডঃ এনকে অরোরা বলেন, "শুনতে আশ্চর্য লাগলেও একদিন গোটা বিশ্বকে টিকার জন্য আমাদের উপরই নির্ভর করে থাকতে হবে।"
নয়া দিল্লি: বর্তমানে দেশ টিকাসঙ্কট দেখা দিলেও আগামিদিনে স্বল্প খরচে, কার্যকরী ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের উপরই নির্ভর করবে গোটা বিশ্ব, এমনটাই ধারণা কেন্দ্রের কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান ডঃ এনকে অরোরার।
দেশে আপাতত যে তিনটি ভ্যাকসিন দিয়ে টিকাকরণ চলছে, তার মধ্যে দুটিই ভারতে তৈরি। এরমধ্যে কোভ্যাক্সিন আবার সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি। তবে আগামিদিনে আরও বেশ কয়েকটি করোনা টিকা ভারতের বাজারে আসতে চলেছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য ৬টি ভ্যাকসিন আবেদন জানিয়েছে।
দেশে টিকাকরণের ভবিষ্যত নিয়ে কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান জানান, বেশ কয়েকটি টিকার প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ। কেবল ট্রায়াল ও অনুমোদন পর্বই বাকি। সেরাম ইন্সটিটিউট ও ক্যাডিলা ফার্মার মতো সংস্থার প্রশংসা করে তিনি জানান, আগামিদিনে এই প্যানডেমিকের সঙ্গে লড়াইয়ের সামগ্রিক চিত্রটিই হয়তো বদলে দিতে পারে ভারত।
কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান ডঃ এনকে অরোরা বলেন, “শুনতে আশ্চর্য লাগলেও একদিন গোটা বিশ্বকে টিকার জন্য আমাদের উপরই নির্ভর করে থাকতে হবে। অধিকাংশ গরিব দেশেরই চড়া দামে ভ্যাকসিন কেনার ক্ষমতা নেই, আজকের দিনে ভ্যাকসিন কেনার থেকে সহজ কাজ হল অস্ত্র কেনা। সেই কারণেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলি ভারতের উপরই টিকার জন্য নির্ভর করে থাকে।”
নতুন ভ্যাকসিনগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন, ” সেরাম সংস্থার নোভাভ্যাক্স অসাধারণ। গত সপ্তাহ থেকেই এই ভ্যাকসিন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন শুরু করেছে কারণ এই ভ্যাকসিনের উৎপাদনে ছাড়পত্র মিললেই ভারত বছরে ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ় তৈরিতে সক্ষম হবে। ৯০ শতাংশ কার্যকারী এই ভ্যাকসিন বাকি টিকাগুলির তুলনায় অনেকটাই সস্তাও হবে। এছাড়াও বায়ো-ই ভ্যাকসিনও তৃতীয় দফার ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। এটিও সমস্ত বয়সসীমার মানুষদের জন্যই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আগামী অক্টোবর মাসেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসতে পারে।”