Mehul Choksi: ইন্টারপোলের ত্রুটিতেই রেড নোটিস থেকে মুক্তি মেহুলের, সিবিআই-এর নতুন আবেদন

Mehul Choksi red corer notice: কল্পনা এবং অনুমানের ভিত্তিতেই মেহুল চোকসির নামে রেড কর্নার নোটিস সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্টারপোল। এমন দাবি করে ফের এই নোটিস জারির আবেদন সিবিআই-এর।

Mehul Choksi: ইন্টারপোলের ত্রুটিতেই রেড নোটিস থেকে মুক্তি মেহুলের, সিবিআই-এর নতুন আবেদন
নিছক কল্পনা এবং অনুমানের উপর ভিত্তি সরানো হয়েছে রোড কর্নার নোটিস, দাবি সিবিআই-এর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 5:56 PM

নয়া দিল্লি: সোমবারই ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মেহুল চোকসির নাম। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই হিরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তাকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী বলে ঘোষণা করেছে ভারত। মঙ্গলবারই (২১ মার্চ), রেড কর্নার নোটিসের তালিকায় তার নাম ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের ফাইল কন্ট্রোল কমিশন বা সিসিএফ-এর কাছে আবেদন করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “২০২২-এর নভেম্বরে নিছক কল্পনা এবং অনুমানের উপর ভিত্তি করে, এক পাঁচ সদস্যের সিসিএফ চেম্বার, মেহুল চোকসির নাম থেকে রেড কর্নার নোটিস সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সিবিআই-এর আরও দাবি, সিসিএফ-এর পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে যে, মেহুল চিনুভাই চোকসির যে সুষ্ঠু বিচার পাবে না, এই বিষয়ে তারা তথ্যগতভাবে নিশ্চিত নয়। কোন বাস্তব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিদ্ধান্তের এই গুরুতর ত্রুটি এবং নতুন পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিসিএফ সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআই আরও বলেছে, “এই ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত সংশোধন এবং রেড কর্নার নোটিশ ফের জারি করার জন্য ইন্টারপোলের যা যা প্রতিকারমূলক প্রক্রিয়া আছে এবং আবেদন করার যে যে বিকল্প রয়েছে, সেগুলি করে চলেছে সিবিআই।”

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অনুরোধে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে একটি রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল। এই নোটিসের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করেছিলেন মেহুল। ২০২০ সালে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর তাকে অপহরণ করার চেষ্টা হয়েছে বলে একপ্রস্থ নাটকও করেছিল মেহুল চৌকসি। তার এক বছর পর, ২০২২ সালে, সিসিএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মেহুল। সিসিএপ ইন্টারপোলের আওতাধীন সংস্থা হলেও ইন্টারপোল সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রধানত বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত আইনজীবীদের এই সংস্থার সদস্য করা হয়। সিসিএফ, ইন্টারপোলের ২০২০ সালের সিদ্ধান্ত সংশোধন করে। তাতেই রেড কর্নার নোটিস থেকে নাম বাদ গিয়েছে মেহুল চোকসির।

এদিকে, ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ মেহুল চোকসির নাম বাদ যাওয়ার প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিশানা করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ইডি-সিবিআইকে শুধুমাত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে। এদিকে পলাতক অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। টুইট করে কংগ্রেস সংভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, “বিরোধী নেতাদের জন্য ইডি-সিবিআই, কিন্তু আমাদের মোদীজির মেহুল ভাইয়ের জন্য ইন্টারপোলের হাত থেকে মুক্তি! বেস্ট ফ্রেন্ডের জন্য যখন সংসদ স্থগিত হতে পারে, ৫ বছর ধরে পলাতক পুরনো বন্ধুকে সাহায্য না করে থাকবেন কী করে? দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ডুবে গিয়েছে। আর ‘না খানে দুঙ্গা’ এক অনন্য বাক্যবন্ধে পরিণত হয়েছে!”