কলকাতা : নানারকম বাজি পুড়িয়ে, ডিজে বাজিয়ে বিয়ের (Wedding Ceremony) আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার রেওয়াজ তো রয়েছে এ রাজ্যেই। কিন্তু, হাতে বন্দুক নিয়ে গুলি ছুড়ে (Firing in Wedding Ceremony) বিয়ের উদযাপন? হ্যাঁ এই রীতি রয়েছে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh), রাজস্থান, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে। যার কারণে নানা বিপত্তিও ঘটতে দেখা যায় প্রায়শই। হয় খবর। কিন্তু, কেন এই রীতি? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ক্ষমতার প্রদর্শন করতেই মূলত বিয়েবাড়িতে গুলি ছুড়ে সমাজে নিজেদের অবস্থার জাহির করে থাকে অনেক পরিবার। কিন্তু, এই কাজে অনেক ক্ষতিও হয়ে যায় প্রায়শই। আহতের পাশাপাশি নিহতও হন অনেকে। চলে গ্রেফতারি। কিন্তু, তারপরেও থামেনি এই বেআইনি রেওয়াজ।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কমপক্ষে এই ধরনের ৯টি ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায় কর্নাটকে। সেখানে দুজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষে নতুন বছরের উদযাপনের অনুষ্ঠানে সেই রাজ্যে গুলি ছুড়তে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে। মাত্র ১ বছরের এ বাচ্চার প্রাণ গিয়েছিল সেই ঘটনায়। সাধারণত, এই ধরনের ঘটনাগুলিতে কেউ কারও ক্ষতি করার উদ্দেশে গুলি না ছুড়লেও দুর্ঘটনা ঘটেও যায়। বিয়ে বাড়ি বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে বর-কনে বা অতিথিদের আকাশের দিকে গুলি ছুড়তে দেখা গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেই গুলি ছাদে লেগে নীচের দিকে নেমে আসে। গতি কম থাকলেও সেই সময়ও বুলেটের স্পিড যা থাকে তাতে যে কোনও ব্যক্তি সহজেই আহত হতে পারেন। যেতে পারে প্রাণও।
২০১৯ সাল থেকে কোনওরকম অনুষ্ঠানে ফায়ারিংকে পুরোপুরিভাবে বেআইনি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকেও খোলা জায়গায় ফায়ারিং পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কেউ এরকম করলে তাঁর দু’বছর পর্যন্ত সাজাও হতে পারে। পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। মামলা হতে পারে অস্ত্র আইনে।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। ছাদনাতলা থেকেই গুলি ছুড়তে দেখা যায় এক কনেকে। পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। সেই ভিডিও ইতিমধ্য়েই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। কিন্তু, এখনও কেউ গ্রেফতার হননি।