‘নতুন’ করোনা আরও শক্তিশালী, কেন্দ্রও স্বীকার করে বলল ‘সুপার স্প্রেডার’

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 23, 2020 | 7:08 PM

ভারতে এখনও করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ না মিললেও তড়িঘড়ি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে। এই বিষয়ে তিনি জানান, যারা ব্রিটেন (Britain) থেকে ভারতে এসেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নতুন করোনা আরও শক্তিশালী, কেন্দ্রও স্বীকার করে বলল সুপার স্প্রেডার
নীতি আয়োগ কর্তা ভি কে পাল। ছবি:ANI

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ কমায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল দেশ, ঠিক সেইসময়ই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’। ব্রিটেন থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে ৭০ শতাংশ অধিক সংক্রামক এই নতুন স্ট্রেন। নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পাল (VK Paul)-ও স্বীকার করে নিলেন এই ‘সুপার স্প্রেডার’-র তত্ত্ব।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “বর্তমানে আমাদের অবস্থান ঠিকই রয়েছে এবং এই গতিই বজায় রাখতে হবে। প্রতি মুহূর্তে সজাগ থাকলেই করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব। ব্রিটেনে এই ভাইরাসের নতুন মিউটেশন দেখা গিয়েছে। আমরা ব্রিটেনের গবেষণা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলেছি এবং সেখান থেকেই জানা গিয়েছে যে ভাইরাসের এই মিউটেশনের ফলে সংক্রমণের মাত্রা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা যেতেই পারে সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছে এই ভাইরাস। ”

দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভি কে পাল আরও বলেন, “এই ভাইরাসের মিউটেশন রোগের হারকে গুরুতরভাবে যেমন বৃদ্ধি করছে না, তেমনই মৃত্যুর হার বা হাসপাতালে রোগী ভর্তির হারও বৃদ্ধি করছে না। ব্রিটেনে দেখা দেওয়া নতুন স্ট্রেন এখনও অবধি ভারতে দেখা যায়নি। উদ্বেগ বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমাদের আপাতত সজাগ থাকতে হবে।”

আরও পড়ুন: ‘ভারতের সময় কবে আসবে?’, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের

ভাইরাসের মিউটেশন (Mutation of Coronavirus) আসলে কী, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন নীতি আয়োগের সদস্য । তিনি বলেন, “মিউটেশনের অর্থ হল ভাইরাসের আরএনএ-তে পরিবর্তন ঘটা। এর বিশেষ কোনও গুরুত্ব নেই। এখনও অবধি প্রায় ১৭টি পরিবর্তন দেখা গিয়েছে এই ভাইরাসে। এরমধ্যে এন৫০১ওয়াই এর ফলেই দেহে ভাইরাসের প্রবেশের মাত্রা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই অন্যান্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পেয়েছে।”

ভারতে এখনও করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ না মিললেও তড়িঘড়ি বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে সংক্রমণ রুখতে। এই বিষয়ে তিনি জানান, যারা ব্রিটেন (Britain) থেকে ভারতে এসেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্রিটেন থেকে আগতদের আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তাদের রিপোর্ট যদি পজ়িটিভ আসে, তবে সেই স্যাম্পেল সংগ্রহ করে জিনগত গঠন পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন করোনার স্ট্রেনের প্রভাব ভ্যাকসিনে (Vaccine) পড়বে না বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: করোনা ‘সুনামি’ ঠেকাতে কর্নাটকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘নাইট কার্ফু’

Next Article