নয়া দিল্লি: দলিত আইএএস অফিসারকে খুন করে যাবজ্জীবন সাজা কাটছিল গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া আনন্দ মোহন সিং। সেই গ্য়াংস্টারকেই মুক্তি দিচ্ছে বিহারের নীতীশ কুমারের সরকার। বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই সমালোচনায় সরব গোটা দেশ। এবার দেশের আমলারাও বিক্ষোভ শুরু করলেন। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে টুইটে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “এই ধরনের দুর্বলতা সরকারকে দায়মুক্তির দিকেই নিয়ে যায়। সরকারী কর্মচারীদের মনোবল ভেঙে দেয় এবং জনশৃঙ্খলার অবক্ষয় হয়। বিচার ব্য়বস্থা উপহাসে পরিণত হচ্ছে।”
১৯৯৪ সালে গণপিটুনির একটি ঘটনায় আইএএস অফিসার তথা বিহারের গোপালগঞ্জের প্রাক্তন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়ার মৃত্যু হয়। তাঁকে খুনের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া আনন্দ মোহন সিংকে। প্রথমে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
The Central IAS Association expresses its deep dismay at the decision of the State Government of Bihar to release the convicts of the brutal killing of Late Shri G Krishnaiah, IAS, former District Magistrate of Gopalganj, by a change in classification rules of prisoners. pic.twitter.com/a84s7pYL20
— IAS Association (@IASassociation) April 25, 2023
চলতি মাসের শুরুতেই বিহার সরকার কারাগারবিধি পরিবর্তন করে। এর জেরেই বিহারের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সোমবার এমনটাই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। মুক্তি পাওয়া এই ২৭ জনের মধ্যেই অন্যতম হলেন প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিং। তাঁর মুক্তিকে কেন্দ্র করেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সেন্ট্রাল আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে টুইট করে বলা হয়, “বিহার সরকার প্রয়াত আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল আইএএস অ্যাসোসিয়েশন তীব্র বিরোধিতা করছে।”
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে আনন্দ মোহন সিংয়ের মতো কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরই নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সুশীল মোদী থেকে শুরু করে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির তরফে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তবে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “বেচারা আনন্দ মোহন এই খুনের মামলায় বলির পাঁঠা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন।”