নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম পদ্ধতি নিয়ে মাস কয়েক আগেই সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এবার ফের সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে নয়া সংঘাত তৈরি হতে পারে। এক নয়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। এই আইন পাশ হলে, দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী অফিসারদের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১০ অগস্ট), রাজ্যসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিযুক্তি, পরিষেবার শর্তাবলী এবং মেয়াদ) বিল, ২০২৩ পেশ করল কেন্দ্র। এই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি প্যানেল। সেই সুপারিশ মেনে রাষ্ট্রপতি তাঁদের নিয়োগ করবেন।
চলতি বছরের মার্চেই সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের সুপারিশ করবে একটি প্যানেল। সেই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ছাড়াও ভারতের প্রধান বিচারপতিকে রাখতে হবে। কেন্দ্রের এই নয়া আইন পাশ হলে, সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের কোনও মূল্য থাকবে না। অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের রায়েই নয়া আইন প্রণয়নের একটি সুযোগও রাখা হয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল, সংসদে এই বিষয়ে কোনও আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সার্চ কমিটিতে থাকবেন প্যানেলে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত মন্ত্রীরা, মন্ত্রিপরিষদের সচিব এবং কেন্দ্রের অন্য দুই দফতরের সচিব। এই নয়া প্যানেল মোট পাঁচটি নাম চিহ্নিত করবে। বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা হবে ভারত সরকারের কোনও সচিবের সমতুল্য। স্বাভাবিকভাবেই, এই নয়া বিলটি সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রের মধ্যে ফের দ্বন্দ্বের পরিবেশ তৈরি করেছে। শুধু বিচারপতি নিয়োগ নয়, দিল্লি পরিষেবা বিল, এমনকি, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর মতবাদের মতো গুরুতর বিষয়েও সরকার ও বিরার বিভাগের অবস্থান ভিন্ন। আইনের মতো বিতর্কিত আইন, কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে।