Parliamentary committee report: ‘বিচারব্যবস্থায় বৈচিত্র্যের ঘাটতি রয়েছে’, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Aug 10, 2023 | 5:28 PM

Judges recruitment: সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় সমাজের সমস্ত অংশের প্রতিনিধিত্ব বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস জাগিয়ে তুলবে। তাই সমাজের প্রান্তিক স্তর থেকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের পরামর্শ দেওয়া উচিত।

Parliamentary committee report: বিচারব্যবস্থায় বৈচিত্র্যের ঘাটতি রয়েছে, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সংসদ। ফাইল ছবি।
Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা

Follow Us

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের (Judges) সামাজিক শ্রেণিগত অবস্থান (ক্যাটেগরি) সর্বদা আলোচনার মধ্যে উঠে আসে। এবার সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে (Parliamentary committee report) এব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিককালে জেনারেল ক্যাটেগরিভুক্ত বিচারপতির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। অন্যদিকে, তফশিলি জাতি, উপজাতি সহ সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের বিচারপতির সংখ্যা ক্রমশ নিম্নগামী। যার প্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটির পর্যবেক্ষণ, বিচারব্যবস্থায় বৈচিত্র্যের ঘাটতি (Diversity Deficit)  রয়েছে।

সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সাল থেকে গত ৬ বছরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হাইকোর্টে মোট ৬০১ জন বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে জেনারেল ক্যাটেগরিভুক্ত বিচারপতির সংখ্যা ৪৫৭ অর্থাৎ ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ৬ বছরে গোটা দেশে বিভিন্ন হাইকোর্টে নিযুক্ত তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মোট বিচারপতির সংখ্যা ১৮ অর্থাৎ মোট বিচারপতির ৩ শতাংশ। আর তফশিলি উপজাতি-ভুক্ত মোট বিচারপতির সংখ্যা ৯ অর্থাৎ ১.৫ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, যেমন, ওবিসি-ভুক্ত মোট বিচারপতির সংখ্যা ৭২, শতাংশের হিসাবে ১১.৯ শতাংশ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মোট বিচারপতির সংখ্যা ৩২ অর্থাৎ ৫.৩ শতাংশ।

অর্থাৎ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, গত ৬ বছরে দেশে অনগ্রসর ও সংরক্ষিত শ্রেণি থেকে নিযুক্ত হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা জেনারেল ক্যাটেগরির তুলনায় অনেকটাই কম। আবার দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে নিযুক্ত মোট মহিলা বিচারপতির সংখ্যা ৯১ অর্থাৎ মোট বিচারপতির নিরিখে ১৫.১ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বিচারপতির নিরিখে মহিলা বিচারপতির সংখ্যাও কম। এছাড়া শূন্যপদও রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩ বিচারপতির পদ শূন্য রয়েছে।

গত ৭ অগস্ট বিচারপতি সম্পর্কিত এই রিপোর্ট রাজ্যসভায় পেশ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার মোদী। দেশের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সম্বন্ধীয় তথ্যের জন্য সুশীল কুমার মোদীর নেতৃত্বেই লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৩১ সাংসদের একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। রাজ্যসভায় বিভিন্ন শ্রেণির বিচারপতির পরিসংখ্যান পেশ করে সংসদীয় কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ‘বিচারব্যবস্থায় বৈচিত্র্যের ঘাটতি রয়েছে।’ অর্থাৎ তফশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি-সহ অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধির সংখ্যা ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় কম।

যদিও হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। সেকথা উল্লেখ করেও সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় সমাজের সমস্ত অংশের প্রতিনিধিত্ব বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস জাগিয়ে তুলবে। তাই সমাজের প্রান্তিক স্তর থেকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের পরামর্শ দেওয়া উচিত।

সাংসদ তথা সিনিয়ার অ্যাডভোকেট পি উইলসন জানান, অনগ্রসর শ্রেণি থেকে প্রতিনিধিত্বের সংখ্যা কম হওয়ায় সেই সমস্ত গোষ্ঠীর অনেকেরই মনে হতে পারে যে, তাদের অধিকার পর্যাপ্তভাবে সুরক্ষিত হচ্ছে না। তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলেও আশঙ্কিত হতে পারে। সমাজের নির্দিষ্ট কিছু অংশের বিচারক সামগ্রিকভাবে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটাতে পারবেন না বলে অনেকেই আশঙ্কিত হতে পারে। তাই বিচারব্যবস্থায় সমাজের সমস্ত অংশের প্রতিনিধিত্ব সমানভাবে থাকা উচিত বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সংসদীয় কমিটি।

Next Article