নয়া দিল্লি: সম লিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) বৈধতা চেয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয়েছে শুনানি। কেন্দ্র প্রথম থেকেই সম লিঙ্গ বিবাহে বৈধতার বিরোধিতা করে এসেছে। সোমবার এই আবেদনকে কেন্দ্র নিছক ‘শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছে। গতকাল আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই মামলার শুনানি চলাকালীন আজ ফের নতুন করে একটি হলফনামা পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই হলফনামায় সব রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে এই মামলার সঙ্গে সংযুক্তির আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র।
সম লিঙ্গ বিবাহে আইনি বৈধতা নিয়ে মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি এস কে কৌল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পিএস নরসিমহা। গতকালের পর আজ ফের এই মামলায় শুনানি শুরু হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘এই মামলার আইনি দিক নিয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মতামত প্রয়োজন।’ কেন্দ্র জানিয়েছে,’বিবাহ’ বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম শিডিউলের কনকারেন্ট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত। তাই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারের ক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বাসিন্দারা এই সম লিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কী ভাবছেন, তা শীর্ষ আদালতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের তুলে ধরা উচিত। এই বক্তব্য নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব ও সরকার পক্ষের আইনজীবী কেআর সজি কুমার।
এই হলফনামায় কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সম লিঙ্গ বিবাহের বৈধতার বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে গত ১৮ এপ্রিল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনও করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তবে এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও দরকার নেই। তারপরই কেন্দ্রের তরফে এই হলফনামা পেশ করা হল। তবে কেন্দ্রের এই আবেদন এখনও মেনে নেয়নি শীর্ষ আদালত। আজ এই মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন।