নয়া দিল্লি: দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রাজ্যে জেলাভিত্তিক লকডাউন(Lockdown) বা নৈশ কার্ফু (Night Curfew) জারি করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ(Rajesh Bhushan)। করোনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি পন্থাও বললেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তের অর্ধেক সংখ্যক মানুষই মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-র বাসিন্দা। এছাড়াও পঞ্জাব, গুজরাট, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, ছত্তিসগঢ়, দিল্লিতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এদিকে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে আজ থেকে নির্বাচন শুরু হয়েছে। সেখানেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বৈঠকে হাজির রাজ্যগুলিকে বলেন, “১২টি রাজ্যে মোট ৪৬টি অতি সংক্রামক জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে ও এই জেলাগুলিতে কড়া নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে ক্রমশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগীদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা এবং কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘কোভিশিল্ডে’র পর ‘কোভোভ্যাক্স’, সেরামের নতুন ভ্যাকসিনের শুরু হল ট্রায়াল
সংক্রমণ রুখতে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এগুলি হল, করোনা পরীক্ষা, কার্যকরী আইসোলেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, টিকাকরণে জোর ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে পুনর্বহাল হওয়ার শক্তি জোগানো। কেন্দ্রের মতে, যদি এই পাঁচ নীতি অনুসরণ করা যায়, তবেই ফের নিম্নমুখী হবে করোনার সূচক।
রাজেশ ভূষণ জানান, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ৩০ শতাংশ ব্যক্তিকে যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষা ও আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়, তবে সংক্রমণ অনেকটাই রোখা সম্ভব। বিগত এক বছর ধরে যে সমস্ত করোনাযোদ্ধারা নিরন্তর লড়াই চালিয়েছিলেন, তাঁদের মনে যে অনীহা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে বাইপাসের পরামর্শ, মঙ্গলবারই হতে পারে অস্ত্রোপচার