COVID-19 Booster Dose: ৯ মাস নয়, দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পরেই নেওয়া যাবে কোভিডের বুস্টার ডোজ
Vaccination In India: দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে কোভিডের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যেতে পারে, সে জন্য টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে সরকার।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস টিকার দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় ডোজ এবং সতর্কতামূলক ডোজের (বুস্টার ডোজ) মধ্যে ব্যবধান কমিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশ মতো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে সতর্কতামূলক ডোজ। এত দিন এই সময়সীমা ছিল ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ। ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ (NTAGI)- এর প্রস্তাব মতো কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার মধ্যবর্তী ব্যবধান কমানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।
বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি টিকাকরণেও জোর দিতে সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে জানানো হয়েছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই নিতে পারবেন কোভিডের বুস্টার ডোজ। ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সিরা দ্বিতীয় ডোজে নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পর বেসরকারি কোভিড টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সিরা অবশ্য সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পাবেন করোনাভাইরাস টিকার বুস্টার ডোজ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির কর্মীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রে। কো-উইন পোর্টালের মাধ্যমেই টিকা নেওয়ার সময়ের পরিবর্তন উপভোক্তারা দেখতে পাবেন।
দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে কোভিডের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যেতে পারে, সে জন্য টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে সরকার। আর দ্রুত বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে চাই কেন্দ্রে। সে জন্যই দুই ডোজের মধ্যবর্তী ব্যবধান কমানো হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জেরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা তুলনায় সহজ হয়ে উঠবে। তাই বুস্টার ডোজ নেওনার ব্যাপারে প্রচার চালানোর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।