নয়া দিল্লি:
নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগড়, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড – ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর প্রদেশ ও বিহার। এই অবস্থায় এই দুই রাজ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার (২০ জুন), তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করতে এক উচ্চ-স্তরের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, “তাপ-জনিত অসুস্থতার মোকাবিলায় উত্তর প্রদেশ এবং বিহারকে সহায়তার জন্য, এই দুই রাজ্য পরিদর্শন করবেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল। এই দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর, আইএমডি এবং এনডিএমএ-এর বিশেষজ্ঞরা।” এছাড়া, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর তাপপ্রবাহের প্রভাব নিয়ে গবেষণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইসিএমআর-কে। হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু রোধ করতে আইসিএমআর-কে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
देशभर में भीषण गर्मी से उत्पन्न हो रही समस्याओं और सार्वजनिक स्वास्थ्य की तैयारियों को लेकर उच्च स्तरीय बैठक की।
जिन राज्यों में लू का प्रभाव है और हीट स्ट्रोक की घटना हुई है, उन्हें सहयोग देने हेतु केंद्र सरकार की टीम उन राज्यों में जाएगी। pic.twitter.com/Sj1HATsWYn
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) June 20, 2023
বুধবার উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের মন্ত্রী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে পৃথক একটি বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাপপ্রবাহের মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বস্তুত, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ওড়িশা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। যদিও উত্তর প্রদেশে এই ধরনের মৃত্যুর তদন্তে গঠিত কমিটি সাফ জানিয়েছে, গরমের কারণে তাদের রাজ্যে মৃত্যু হয়নি। পশ্চিমবঙ্গেও দিন দুয়েক আগে পর্যন্ত অবস্থা একই রকম ছিল। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে আবহাওয়া কিছুটা সহনশীল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এদিন বৈঠক ডেকেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভিকে পল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর ডা. রাজীব বহল এবং ভারতের আবহাওয়া বিভাগের একাধিক বিশেষজ্ঞ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, গ্রীষ্মের অনেক আগে থেকেই তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতার মোকাবিলায় ‘সময়োপযোগী’ ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দ্র। তিনি বলেছেন, “গ্রীষ্মের আগেই গত মার্চ মাসে তাপপ্রবাহের মোকাবিলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে এক বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেব্রুয়ারিতে তাপপ্রবাহের মোকাবিলা বিষয়ে উপদেশাবলী জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড, ওআরএস, পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” তবে, তাপপ্রবাহ এবং স্বাস্থ্যের উপর তার প্রভাব বিষয়ে সাধারণ মানুষ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য। তিনি বলেছেন, “জনগণের সচেতন থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতার বিষয়ে মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য কর্মী এবং তৃণমূল স্তরের কর্মীদের জ্ঞান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।”