Staff crunch in Hospitals: করোনায় কাবু চিকিৎসকরাও, স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে এমবিবিএস ও নার্সিং পড়ুয়াদের ময়দানে নামাতে চায় কেন্দ্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 10, 2022 | 4:26 PM

Deployment of MBBS and Nursing Students: রোগী পরিষেবার উপর একটি চাপ তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এমবিবিএস এবং বিএসসি নার্সিং পড়ুয়াদের ময়দানে নামানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

Staff crunch in Hospitals: করোনায় কাবু চিকিৎসকরাও, স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে এমবিবিএস ও নার্সিং পড়ুয়াদের ময়দানে নামাতে চায় কেন্দ্র
স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাড়ছে চাপ। ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি : দেশের করোনা গ্রাফ (COVID 19) ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ছড়িয়েছে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বড় অংশের মধ্যেও। রোগী পরিষেবার উপর একটি চাপ তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এমবিবিএস (MBBS) এবং বিএসসি নার্সিং (BSc Nursing) পড়ুয়াদের ময়দানে নামানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ময়দানে নামানো হোক। এর পাশাপাশি বিএসসি নার্সিংয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদেরও এই অতিমারি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নামানো যেতে পারে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে নার্সিংয়ের যাঁরা এমএসসি পড়ছেন, তাঁদেরও প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মত কেন্দ্রের। সোমবার কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে।

স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বড় সিদ্ধান্ত

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি যথেষ্ট বড় একটি সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে এমন একটি সময়ে, যখন দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেই সময় যাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবেন, তাঁদের একটি বড় অংশ বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মতো একটি প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জনস্বাস্থ্য পরিষেবার উপর সেই সম্ভব্য চাপকে এড়াতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

পূরণ করা হোক শূন্যপদ, দাবি চিকিৎসক মহলের

বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজল কৃষ্ণ বণিক বলছেন, “যাঁরা এই নির্দেশিকাগুলি জারি করছেন, পরিস্থিতি যা হচ্ছে, কয়েকদিন পর তাঁদেরও নামতে হবে। শুধুমাত্র এমবিবিএস যাঁরা করছেন বা যাঁরা নার্সিংয়ের পড়ুয়ারা কেন, প্রয়োজনে দরকার হলে সবাইকে নামতে হবে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বারংবার বলছিলাম, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে হাসপাতাল পরিষেবার উপরে চাপ বাড়ছে। হাসপাতাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি কর্মচারী, যে সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থাকা উচিত – যেখানে যা ফাঁকফোকড় রয়েছে, এই অবসরে তা পূরণ করে নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে সেই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হল না। অথচ আমরা দেখছি যে কিছু ছোট ছেলেমেয়ে, যাঁরা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ডাক্তারি পড়তে এসেছে বা নার্সিং পেশায় যুক্ত হওয়ার জন্য নার্সিং পড়তে এসেছে, তাঁদের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ, যে চিকিৎসকরা গ্রামীণ এলাকায় প্র্যাক্টিস করছেন, যাঁরা বেসরকারি জায়গায় কাজ করছেন, তাঁদের যুক্ত করার কথা ভাবা হল না। মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা চাই, যাঁরা অভিজ্ঞ, সেই সব চিকিৎসক, নার্সদের দিয়েই হাসপাতাল পরিচালনার কাজটা করা হোক। যেখানে যত শূন্যপদ রয়েছে, অবিলম্বে সেগুলি পূরণ করা হোক।”

পড়ুয়াদের ময়দানে নামানোর আগে দিতে হবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ

বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস অবশ্য বলছেন, “তৃতীয় বর্ষ থেকেই ইমার্জেন্সি ডিউটি পড়ে। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি এদের নামানো যায়, সেক্ষেত্রে অসুবিধা নেই। কিন্তু প্রশিক্ষণটা ঠিকভাবে দিতে হবে। আজ বললেই কাল তাঁরা তৈরি হয়ে যাবে না। তাঁদের তৈরি হতে, তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর তাঁরা যুদ্ধে নামতে পারে। যেখানে এত সংখ্যক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন, সেখানে অবশ্যই একটি বিকল্প পরিকল্পনা থাকা উচিত। সেদিক থেকে এই উদ্যোগ খারাপ নয়। কিন্তু এই উদ্যোগ নিতে গেলে, যা যা প্রশিক্ষণ দেওয়ার তা নিশ্চিত করতে হবে।”

আরও পড়ুন : Goa Minister quits BJP: ভোটের আগে বিজেপি ছাড়লেন গোয়ার মন্ত্রী, কংগ্রেসের জার্সি পরার জোর জল্পনা

Next Article