‘কেমিক্যাল দিয়ে যৌনতায় অক্ষম করে দেওয়াই হোক ধর্ষণের শাস্তি!’ আরজি কর প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্টে

Supreme Court: প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের ধর্ষণের ঘটনার কথা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে শীর্ষ আদালতে করা ওই আবেদনে।

'কেমিক্যাল দিয়ে যৌনতায় অক্ষম করে দেওয়াই হোক ধর্ষণের শাস্তি!' আরজি কর প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্টে
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Dec 17, 2024 | 12:43 PM

নয়া দিল্লি: সম্প্রতি আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ। প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতা নিয়ে। নতুন করে পথে পথে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। এই আবহেই ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে নতুন আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক, এমনই আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ান।

সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবীদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো নারী নির্যাতনের ঘটনায় আরও কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। জামিন না দেওয়ার মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এমনটাও দাবি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের ধর্ষণের ঘটনার কথা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে শীর্ষ আদালতে করা ওই আবেদনে।

আবেদনকারীদের দাবি, বর্তমান পুলিশি ব্যবস্থায় অভিযুক্তরা সঠিকভাবে শাস্তি পাচ্ছেন না। কী কী পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে…

এই খবরটিও পড়ুন

১. ন্যাশনাল সেক্স অফেন্ডার রেজিস্ট্রি তৈরি করা হোক।

২. বাধ্যতামূলকভাবে যৌনতায় অক্ষম (কেমিক্যাল কাস্ট্রেশন) করে দেওয়া হোক।

৩. পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক।

৪. স্কুলে পড়ুয়াদের সচেতন করা হোক।

৫. যৌন হেনস্থার মামলায় ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার ডেডলাইন দেওয়া হোক।

৬. যৌন হেনস্থার মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ‘নো বেল’ নিয়ম চালু করা হোক।

৭. ওলা, উবেরের মতো সংস্থার চালকদের পাঠ দেওয়া হোক, মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে।

৮. মার্শাল আর্ট ট্রেনিং দেওয়া হোক ছাত্রীদের।

দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদাহরণ দিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে যে, কেমিক্যাল বা ওষুধ প্রয়োগ করে যৌনতায় অক্ষম করে দেওয়ার মতো শাস্তি যে কার্যকর, তা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও স্থায়ীভাবে অক্ষম করে দেওয়া, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তির কথাও বলা হয়েছে।

নারী নির্যাতন বা যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত এই আবেদন জানিয়েছেন, আইনজীবী ফিলজা মূনিস, সিনিয়র আইনজীবী মহালক্ষ্মী পাভানি, আইনজীবী সুমেধা সেন ও শৌর্যা মিশ্র।