Paschim Medinipur: আঙুলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড, শুরু বিতর্ক
Paschim Medinipur: তবে এই বিষয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছে জমি মালিকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বন্যায় ডুবে থাকে এই এলাকা আর তাতেই সমস্যায় পড়তে পারেন তাঁরা। কারণ বন্যা হলেই ডাম্পিংয়ের সমস্ত আবর্জনা চলে আসতে পারে তাঁদের জমিতে। তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যানকে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: নিয়ম মেনে হচ্ছে না খড়ার পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। আর তাতেই শুরু বিতর্ক। দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক, এলাকার কৃষকদের দাবি এখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড কোনওভাবেই করা যাবে না। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পুরসভার নেই কোনও স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড । খড়ার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ। তবে কাজ শুরু হওয়ায় তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট এই নিয়ে খড়ার শহরে পোস্টারিং করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, এই পৌরসভায় তিন কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড । আর ভারত সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে না। অথচ সেখানে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান যেখানে সেখানে কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করছেন। এতে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, মানুষের অবজেকশন থাকা সত্ত্বেও তৈরি করছেন অবৈধভাবে।
তবে এই বিষয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছে জমি মালিকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বন্যায় ডুবে থাকে এই এলাকা আর তাতেই সমস্যায় পড়তে পারেন তাঁরা। কারণ বন্যা হলেই ডাম্পিংয়ের সমস্ত আবর্জনা চলে আসতে পারে তাঁদের জমিতে। তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যানকে। এই বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই বলেন, “বিরোধীরা অনেক কিছুই বলবে। এটা সম্পূর্ণ সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমাদের কিছু করার নেই আর আমাদের কোন জায়গাও নেই। আমরা বিএলআরও-কে দিয়ে সমস্ত জায়গা সার্চ করিয়েছি।”
তবে স্পষ্ট ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের গাইডলাইনে লেখা আছে, শেষ ১০০ বছরে যেখানে বন্যা হয়েছিল, সেই এলাকায় তৈরি করা যাবে না ডাম্পিং স্টেশন। এই গাইডলাইন না মানলে দিতে হবে ফাইন। তবে এখন দেখার কোন পথে হাঁটে খড়ার পৌরসভা।