Student: কখনও সবার সামনে, কখনও একা, সুযোগ পেলেই শরীরের যেখানে-সেখানে হাত দিয়ে দেন নতুন স্যার, ছাড় পায়না ছেলেরাও!
Student: সদ্য স্কুলে যোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক। তারপর থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অভিভাবকদের দাবি, স্কুল কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি প্রাথমিকভাবে।
হুগলি: আরজি কর কাণ্ডের পর নারীর সম্মান নিয়ে অনেক প্রতিবাদ-আন্দোলন হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলারা কতটা নিরাপদ, কেন নিরাপত্তা থাকবে না? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বদলায়নি ছবিটা। কর্মক্ষেত্র তো দূরের কথা, স্কুলের ভিতরেই শ্লীলতাহানি! এক নয়, একাধিক ছাত্রীর একই অভিযোগ। স্কুলে নতুন যোগ দেওয়া রোবোটিক্স-এর শিক্ষকের স্পর্শ যে খারাপ, তা বুঝতে পেরেছে ছাত্রীরা। স্কুলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ অভিভাবকদের।
হুগলির মগড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিযোগে সামনে আসে বিষয়টি। তার অভিযোগ, রোবটিক্স ক্লাসে খারাপভাবে স্পর্শ করেন এক শিক্ষক। গত বুধবার এই ঘটনার পর ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি জানায়। ছাত্রীর পরিবার অন্যান্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে। পরের দিনই তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানায়।
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, সব শুনেও স্কুল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিভাবকের অভিযোগ ওই শিক্ষক আরও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করেন। এমনকী ছাত্রদেরকেও খারাপভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বলতে গেলে স্কুল কোনও আলোচনা করতে চায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার মগড়া থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর পরিবার। এক ছাত্রীর মা জানান, কখনও পুরো ক্লাসের মাঝেই খারাপভাবে স্পর্শ করেন ওই শিক্ষক, আবার ক্লাসে একা পেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
এই খবরটিও পড়ুন
স্কুলের প্রিন্সিপাল কমল প্রীত কৌর বলেন, “এই ঘটনা জানার পরই শিক্ষককে সরানো হয়েছে। আজ অভিযোগ পাওয়ার পর ম্যানেজমেন্টকে আবারও জানানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।” বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।