Delhi services bill: ‘অধঃস্তনে পরিণত হবেন মুখ্যমন্ত্রী, ওরা কি বুঝেছে?’, নবীন-জগনকে প্রশ্ন চিদম্বরমের
Delhi services bill: দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনকারী এই বিলকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। আইনটিতে তারা কী যোগ্যতা খুঁজে পেল, প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই লোকসভায় পেশ করা হয়েছে দিল্লি রাজধানি এলাকা পরিষেবা (সংশোধন) বিল, ২০২৩। লোকসভায় বিলটিকে আটকানোর মতো ক্ষমতা নেই বিরোধী দলগুলির। কিন্তু, রাজ্যসভায় বিরোধীরা এককাট্টা হতে পারলে এই বিল আটকানো যেত। কিন্তু, বিরোধীদের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলেছে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনকারী এই বিলকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ফলে এখন, আইনে পরিণত হওয়া থেকে বিলটিকে আটকানো কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলকে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আইনটিতে তারা কী যোগ্যতা খুঁজে পেল? .
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “বিজেপি সাংসদরা এই বিলকে সাপোর্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, আমি বুঝতে পারছি না, বিজেডি এবং ওয়াইএসআরসিপি এই বিলটিতে কী যোগ্যতা খুঁজে পেল?” তিনি জানিয়েছেন, বিলটি পাস হলে, রাজ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে তিন সদস্যের এক কর্তৃপক্ষের হাতে। যার একজন হবেন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, বাকি দুজন হবেন কেন্দ্রের নিযুক্ত আধিকারিক। এই কমিটিতে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধির বিপক্ষে রাজ্যের পক্ষে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী একা। ফলে কোনও বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কেন্দ্রের নিযুক্ত করা ওই আধইকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মতামতকে খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে ওই আধিকারিকদের হাতে। এমনকি কোনও বিষয়ে এই তিনজন একমত হলেও, সেই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে দিল্লির উপ-রাজ্যপালের হাতে।
এছাড়া, এই আইনের বলে দিল্লি সরকারে কর্মরত অফিসারদের ক্ষমতা ও কর্তব্যও নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ফলে চাইলে দিল্লি সরকারের মন্ত্রীদের বাদ দিয়েই দফতর চালাতে পারবে কেন্দ্র। চিদম্বরম লিখেছেন, “বিলটি পাস হলে মুখ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত আধিকারিকদের অধঃস্তনে পরিণত হবেন, সেটা কি এই দুই দল বুঝতে পেরেছে?” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, বিলটিকে সমর্থন করার মতো এতে তারা কী যোগ্যতা খুঁজে পেল?
ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে, বর্তমানে অধিকাংশ দলই হয় এনডিএ, নয়তো ইন্ডিয়া জোটে সামিল। হাতে গোনা কয়েকটি দল কোনও জোটেই না থেকে নিজেদের নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। গত সপ্তাহেই এই দলগুলির অন্যতম, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি জানিয়েছিল, এই বিলটি সংসদে পেশ করা হলে তারা এটির পক্ষে ভোট দেবে। মঙ্গলবার, লোকসভায় বিলটি পেশ হওয়ার পর, একই কথা জানিয়েছে বিজেডিও। ‘নিরপেক্ষ’ দলগুলির মধ্যে একমাত্র কেসিআর-এর বিআরএস তাদের সাংসদদের এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য হুইপ জারি করেছে।