নয়া দিল্লি: দফায় দফায় আলোচনা করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। চিনকে নিয়ে মাথাব্যাথা শেষই হচ্ছে না নয়া দিল্লির। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে যে নির্মাণকাজ শুরু করেছে বেজিং, তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকাও। সেই আবহেই সামনে এল নয়া তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের সীমান্তের কাছে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রেখে দিয়েছে চিন। সম্প্রতি চিনের গতিবিধিতে নজর রাখা হচ্ছে বলে বার্তা দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু তাতেও যে চিন পিছু হটেনি, তারই প্রমাণ মিলেছে গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যে। সূত্রের খবর, লাদাখের কাছেই চিনের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সাজানো রয়েছে একের পর এক যুদ্ধবিমান।
লাদাখ সেক্টরের একেবারে কাছেই রয়েছে চিনের হোটান এয়ারবেস। সেখানে নাকি রাখা আছে ২৫ টি যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে রয়েছে জে-১১, জে-২০-র মত যুদ্ধবিমান। সূত্রের খবর, আগে নাকি ওই এয়ারবেসে মূলত মিগ-২১-এর মত বিমান রাখা হত। এবার সে সব সরিয়ে আরও আধুনিক, আরও দক্ষতাসম্পন্ন বিমান আনা হয়েছে। সংখ্যাটাও অপেক্ষাকৃত বেশি।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চিন ভারতের কাছে নতুন এয়ারফিল্ড তৈরি করছে,যার উচ্চতা অনেকটাই কম। যে কোনও পরিস্থিতিতে নীচু অঞ্চল থেকে অভিযান শুরু করতে যাতে কোনও বাধা না থাকে, সেই কারণেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। আর সেই নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে, কিছুদিন আগেই মার্কিন জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন বলেন, চিনের ওই নির্মাণ, যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কেন চিন এই কাজ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তবে চিনের কোনও পদক্ষেপই যে ভারতের চোখ এড়াচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে, বিশেষত চিন যে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে,তার ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চলা নির্মাণকাজ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে ভারত যে কতটা তৎপর, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।