Enamul Haque: এনামুলের গ্রেফতারের পরও চলত গরু পাচার? ‘কিং পিন’কে জেরা করতে তিহার জেলে যাচ্ছে CID
Enamul Haque: সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে এনামুলের ৩ ভাগ্নে-সহ মোট ৪ জনের।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি গরু পাচারের তদন্ত করছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)-ও। একদিকে যখন এই মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করছে ইডি, অন্যদিকে তখন সিআইডি-র টিম পৌঁছে গেল দিল্লিতে। গরু পাচারের কিং পিন এনামুল হককে (Enamul Haque) জেরা করতেই পৌঁছেছে সিআইডি-র ওই টিম। তিহার জেলে গিয়ে জেরা করা হবে তাঁকে। জঙ্গিপুর আদালতের অনুমতি নিয়েই তাঁকে জেরা করছে সিআইডি।
সিআইডি মূলত মুর্শিদাবাদে ওঠা গরু পাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। ওই জেলায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে শুরু হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর কোম্পানি চালু ছিল, চালাচ্ছিলেন তাঁর ভাগ্নেরা। শুধু তাই নয়, ভাগ্নেরা ওই কোম্পানির নামে গরু পাচারের টাকা বিদেশে পাচার করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই সম্পর্কে জেরা করতেই এদিন দিল্লি গিয়েছেন গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে এনামুলের ৩ ভাগ্নে-সহ মোট ৪ জনের। তিন ভাগ্নে মেদেহি হাসান, হুমায়ুন কবীর, জাহাঙ্গিরের নামে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি।
২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অভিযোগ ছিল, কাস্টমসের তরফ থেকে বাজেয়াপ্ত করা গরুর মধ্যে ১৭৩৫টি গরু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। সিআইডি তদন্তে উঠে আসে, বাজেয়াপ্ত হওয়া গরুই আবার পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই র্যাকেটটা চালাচ্ছেন এনামুলের তিন ভাগ্নে।
উল্লেখ্য, আগেই এই মামলায় ধরা পড়েছেন এনামুল। পরে ধরা পড়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও খোদ অনুব্রত মণ্ডলও। সায়গল বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি আর অনুব্রত রয়েছেন আসানসোল জেলে। গরু পাচারের টাকা কার কাছে, কীভাবে যেত তা জানার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা।