SC On R G Kar: ‘৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে কীভাবে নিরাপত্তার আশা করেন?’, আরজি কর মামলায় প্রধান বিচারপতির বড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 17, 2024 | 6:11 PM

প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে এটাও স্পষ্ট করে দেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন কোনও অস্থায়ী কর্মীর ওপর না দেওয়া হয়। কারণ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রও একজন অস্থায়ী কর্মী।

SC On R G Kar: ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে কীভাবে নিরাপত্তার আশা করেন?, আরজি কর মামলায় প্রধান বিচারপতির বড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ

Follow Us

নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। একজন সিভিক ভলান্টিয়র কীভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে পারেন, কীভাবে তিনি গোটা হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে পারলেন, একাধিক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। মঙ্গলবার আরজিকর মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের কাছে।

প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “গত শুনানিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম ডাক্তারদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। ওই বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে?” রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “আমরা পদক্ষেপ করেছি। আদালতকে ওই বিষয়ে জানাচ্ছি।”

প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে এটাও স্পষ্ট করে দেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন কোনও অস্থায়ী কর্মীর ওপর না দেওয়া হয়। কারণ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রও একজন অস্থায়ী কর্মী। আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের প্রসঙ্গ উত্থাপিত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে কীভাবে তাঁদের থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করেন? কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে পারে রাজ্য?”

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আবার যদি বাইরে থেকে নিরাপত্তারক্ষী আনা হয়, তারা সারা হাসপাতালে ঘুরে বেড়াবে। মহিলা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কি নিরাপদ বোধ করবেন?  ১৮ থেকে ২৩ বছরের ছাত্রীরা পড়াশোনা করেন। তাঁরা সব থেকে বেশি ভালনারেবল। তাঁরা যাতে নিরাপদ বোধ করেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।” এই পরিস্থিতি রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “এই মামলা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।” রাজ্যের বক্তব্য, এখন আরজি করে সিআইএফ মোতায়েন রয়েছে। সিআইএসএফ থাকতে থাকতেই স্থায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

Next Article