Cochin airport: উৎকণ্ঠার ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট, সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা জারি কোচিন বিমানবন্দরে! ফের বিমান বিপত্তি
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় শারজা থেকে কোচিগামী 'এয়ার অ্যারাবিয়ার' একটি বিমানে দেখা দিল হাইড্রোলিক ব্যর্থতা। ফলে, কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২২ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য নিয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হল বিমানটি।
কোচি: ফের মাঝ আকাশে বিমান বিপত্তি! শুক্রবার সন্ধ্যায় শারজা থেকে কোচিগামী ‘এয়ার অ্যারাবিয়ার’ একটি বিমানে দেখা দিল হাইড্রোলিক ব্যর্থতা। ফলে, কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২২২ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য নিয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হল বিমানটি। সূত্রের খবর, বিমানটি সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু, হাইড্রোলিক ব্যর্থতার খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ কোচি বিমানবন্দরে একটি সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। প্রায় মিনিট ৫০-এর উৎকণ্ঠার পর, এয়ার আরাবিয়া জি৯-৪২৬ বিমানটি সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৯ নম্বর রানওয়েতে নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘কোচি বিমানবন্দরে ১৮:৪১ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। সমস্ত যাত্রী নিরাপদে আছেন। কোনও সমস্যার রিপোর্ট করা হয়নি।’ বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিমানটি অবতরণের পর, ৮টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ সেটিকে রানওয়ে থেকে পার্কিং এলাকায় টো-ট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়। সামনের চাকাটি মাটি থেকে তুলে সেটিকে টেনে নিয়ে আসা হয়। ৮টা ২২-এ সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। ওই দীর্ঘ সময়, বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ রাখা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর দ্রুত রানওয়েগুলি পরিষ্কার করে ফের বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।
কোটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস সুহাস বলেছেন, ‘একটি সমন্বিত এবং সময়োপযোগী প্রচেষ্টা, কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডকে বিমানবন্দরের জরুরী পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি দীর্ঘ সময়ের পরে ঘটল। তবে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে কাজ করেছে। আমরা মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ফের কার্যক্রম শুরু করতে পারি।’ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই জরুরি অবতরণের জন্য কোচি বিমানবন্দর থেকে মাত্র দুটি বিমানের মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে। ‘গো ফার্স্ট’ সংস্থার ফ্লাইট জি৮ ৩৩৬-কে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কান্নুরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর, ‘এয়ার অ্যারাবিয়ার’ ফ্লাইট ৩এল ১২৫-কে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে কোয়েম্বাটুর বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।