UP Physical Assault: যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়ে কলেজ পড়ুয়াকে ‘ধর্ষণ’, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্য়ু যুবতীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 14, 2022 | 11:15 AM

UP Physical Assault: কিছুক্ষণ পর যুবতীর বোন বাড়িতে আসে এবং তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবতীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

UP Physical Assault: যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়ে কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণ, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্য়ু যুবতীর
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

লখনউ: ফের খবরের শিরোনামে উন্নাও (Unnao)। ফাঁকা বাড়িতে জোর করে কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ২৫ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের (Physical Assault) পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে যুবতীর। ইতিমধ্য়েই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাওয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের এক যুবতীকে ধর্ষণ করে তারই পরিচিত বছর ২৫-র এক যুবক। রবিবার ওই যুবতী বাড়িতে একা ছিলেন। অভিযুক্ত সে কথা জানতে পেরেই তাঁর বাড়িতে হাজির হয় এবং জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই কলেজ পড়ুয়া বাধা দিলেও যুবক তাঁকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়।

তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ধর্ষণের আগে যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধ খেয়েছিল। নির্যাতিতা তাঁকে বারংবার বাধা দিলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাঁর উপরে শারীরিক অত্য়াচার চালায় ওই যুবক। নির্যাতিতা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। যুবতীর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত শুরু হতেই ভয় পেয়ে যায় অভিযুক্ত এবং ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়।

বেশ কিছুক্ষণ পর যুবতীর বোন বাড়িতে আসে এবং তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবতীকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে ময়নাতদন্ত করা হলে জানা যায়, যুবতী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। গোপনাঙ্গে আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই তাঁর মৃত্য়ু হয়।

পুলিশে অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেয়। ধর্ষণের আগে সে যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধও খেয়েছিল বলে জানায় পুলিশকে।

এদিকে, নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন, শুধু অভিযুক্ত যুবকই নয়, পাশের বাড়ির ২৮ বছরের এক যুবক ও ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলাও গোটা ঘটনায় জড়িত রয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল থেকে এখনও অবধি যে তথ্যগুলি পাওয়া গিয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে নির্যাতিতা অভিযুক্তকে আগে থেকে চিনতেন। তবে নির্যাতিতার বাবা যে দুইজনের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Next Article