নয়া দিল্লি : রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে? কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের থেকে শ্বেতপত্র চাইল কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, সাধারণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে আম আদমি পার্টি এবং বিজেপি। এর দায় তাদের নিতে হবে। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগির এভাবেই কেন্দ্র ও দিল্লির সরকারকে একযোগে বিদ্ধ করলেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আম আদমি পার্টি একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত। করদাতাদের টাকা কেবল ফাঁপা বিজ্ঞাপনে নষ্ট করছে উভয় সরকারই। শেরগির বলেন, “আপের দিল্লি সরকার এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার ফাঁপা বিজ্ঞাপন এবং এক অন্যের উপর দোষ চাপানোর রাজনীতি করছে। করদাতাদের টাকা অপচয় না করে দূষণ মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।”
কংগ্রেস মুখপাত্র আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণগুলি থেকেই দূষণ মোকাবিলায় আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির মেরুদন্ডহীন এবং উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গি সবার সামনে এসে গিয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, আসল সত্যিটা হল বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির এই রাজনীতির জন্য এক ভয়ঙ্কর খেসারত দিতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। ফাঁপা প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের নিজেদের প্রচারে ছাড়া আর কিছুই হয়নি, আর সেই কারণেই দূষিত হচ্ছে দিল্লি। উল্লেখ্য, রাজধানীর ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণের জেরে শীর্ষ আদালত দুই সরকারের ভূমিকারই কড়া সমালোচনা করেছে আজ। আর তারপরেই এই প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের।
কংগ্রেস মুখপাত্র তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে। বলেন, “এবার সময় এসেছে রাজনৈতিক জবাবদিহিতার। দিল্লির সাধারণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং তাঁদের স্বাস্থ্য বিপন্ন করার জন্য বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি উভয়কেই দায়বদ্ধ করা উচিত।”
শনিবারই দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত দূষণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন করতে প্রস্তুত। তবে এই পদক্ষেপ তখনই সুফল দেবে, যখন তা দিল্লির পাশাপাশি এনসিআর অঞ্চলেও কার্যকর করা হবে। কেবলমাত্র দিল্লি শহরের আকার দেখে বলা যায়, সেখানে লকডাউন করলে, দূষণে তার প্রভাব সীমিতই থাকবে।” যদি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বা বাতাসের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে অনুমতি দেওয়া হয়, তবে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে লকডাউন করতে রাজি রাজ্য সরকার, এমনটাই জানানো হয় শীর্ষ আদালতে।
এ দিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দিল্লির দূষণের মাত্র ১০ শতাংশ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানোর জন্য হয়, রাজ্যের দূষণের ৭৪ শতাংশই হয় শিল্পাঞ্চল, ধুলো কণা ও যানবাহন থেকে।