Ashok Gehlot: অনুগামীদের ভালবাসাতেই বিপাকে গেহলট, গান্ধী পরিবারের নেক-নজর থেকে সরে ক্ষমতাও হারাবেন এবার?

Ashok Gehlot: অশোক গেহলটের অবর্তমানে সচিন পাইলটের নাম রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভেসে উঠতেই যেভাবে গণইস্তফার হুমকি দিয়েছিলেন গেহলটপন্থী বিধায়করা এবং তারা যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্বের পাঠানো প্রতিনিধি অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে নিজেরা আলাদা বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতে বেজায় চটেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Ashok Gehlot: অনুগামীদের ভালবাসাতেই বিপাকে গেহলট, গান্ধী পরিবারের নেক-নজর থেকে সরে ক্ষমতাও হারাবেন এবার?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 6:40 AM

নয়া দিল্লি: তুঙ্গে ছিল দলের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি। কিন্তু এক প্রার্থীকে ঘিরে এমনই টানাপো়ডেন শুরু হল যে সরকারের পতন হওয়ার অবস্থা তৈরি হল। যাবতীয় কাজ ছেড়ে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার টিকিয়ে রাখতেই বর্তমানে ব্যস্ত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই সঙ্কট তৈরির পুরো দোষটাই যাচ্ছে একজনের ঘাড়ে। তিনি আর কেউ নন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে রাজস্থানে যেভাবে সরকার নিয়েই টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ গান্ধী পরিবার। গতকালই দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় অশোক গেহলটের। কিন্তু তাঁর ব্যাখ্যায় মন গলেনি সভানেত্রীর।

রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অনুগামী ৯০ কংগ্রেস বিধায়ক হঠাৎ করে বিদ্রোহী হয়ে ওঠাকে বিপদ-সঙ্কেত হিসাবেই দেখছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাজস্থানের রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকমান্ড। এর কোপ পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উপরও। কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে আর অশোক গেহলট নেই। আগামী ৩০ তারিখ তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা করার জল্পনা থাকলেও, তিনি সভাপতি নির্বাচনের অংশ হতে পারবেন না বলেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, অশোক গেহলটের অবর্তমানে সচিন পাইলটের নাম রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভেসে উঠতেই যেভাবে গণইস্তফার হুমকি দিয়েছিলেন গেহলটপন্থী বিধায়করা এবং তারা যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্বের পাঠানো প্রতিনিধি অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে নিজেরা আলাদা বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতে বেজায় চটেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গোটা ঘটনাতেই গেহলটের উপরে ক্ষুব্ধ সনিয়া-রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর গেহলটের ডানা ছাঁটারও পরিকল্পনা করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০২০ সালে যখন অশোক গেহলট বনাম  সচিন পাইলটের বিরোধ শুরু হয়েছিল, তখনও সরকার ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। সেই সময়ও পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছিল গান্ধী পরিবার। দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই সঙ্কট দেখা দেওয়ায় রাজস্থানের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের উপরই ক্ষুব্ধ হাইকম্যান্ড।

অন্যদিকে, এই টানাপোড়েন নিয়ে সচিন পাইলট চুপ থাকায় খুশি গান্ধী পরিবার। দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত ক্ষমতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন পাইলট। গেহলটের অনুগামীদের এহেন বিদ্রোহী আচরণের পাল্টা জবাব দিতে সচিন পাইলটের হাতে কোনও গুরু দায়িত্ব দিতে পারে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।