Adhir Chowdhury: বড় দায়িত্ব পেলেন অধীর, বিজেপি-কে রুখতে কংগ্রেসের তুরুপের তাস?
Adhir Chowdhury: AICC-র তরফে ঝাড়খন্ড নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হল কংগ্রেসের লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা অধীর চৌধুরীকে। অধীরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে তারিক আনোয়ার এবং তেলঙ্গানার উপমুখ্যমন্ত্রী ভাট্টি ভিক্রামার্কা মাল্লুকে।
নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোটে বাংলায় ভাল হয়নি কংগ্রেসের। পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও নেই তিনি। তবে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার পর হাত শিবিরের হাই কমান্ডের তরফে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল বর্ষীয়ান নেতা অধীর চৌধুরী।
AICC-র তরফে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হল কংগ্রেসের লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা অধীর চৌধুরীকে। অধীরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে তারিক আনোয়ার এবং তেলঙ্গানার উপমুখ্যমন্ত্রী ভাট্টি ভিক্রামার্কা মাল্লুকে।
কেন অধীরকেই বেছে নিয়েছে কংগ্রেস হাই কমান্ড?
এবারে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম বড় ইস্যু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। মূলত, সাঁওতাল পরগনা ডিভিশনে এই অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভোটের একমাত্র নির্ণায়ক ইস্যু হতে চলেছে। বিজেপির অভিযোগ,পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদকে করিডর করেই ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় অনুপ্রবেশ ঘটছে। এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি দখল করছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। যার ফলে আদিবাসী এলাকায় জনবিন্যাস সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
সাঁওতাল পরগনা ডিভিশনের ১৮টি আসনের মধ্যে ২০১৯ এর নির্বাচনে ১৪টিতে জিতেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। মাত্র চারটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে অনুপ্রবেশের ইস্যু প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবির। সেই প্রয়াস রুখতেই অধীরকে পাল্টা ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।